সাজগোজ হোক কিংবা পোশাক— পুজোর চার দিন সব কিছুই হতে হবে পরিপাটি। ছবি: সংগৃহীত
অফিসের ছুটি আজ থেকে শুরু! দীর্ঘ একটা বছর অপেক্ষার পর মা দুর্গা আবার এলেন বাপের বাড়ি। চারিপাশে ঢাকের বাদ্যি, উৎসবের মেজাজ। গত দু’বছর করোনার দৌলতে সেই ভাবে আনন্দ করা হয়নি, তাই এই বছর আর কোনও কিছুর সঙ্গেই আপস নয়। সাজগোজ হোক কিংবা পোশাক— পুজোর চার দিন সব কিছুই হতে হবে পরিপাটি।
ষষ্ঠীর সকালে বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখার প্ল্যান? ভাবছেন সাবেকি না কি পাশ্চাত্য, কোন ধরনের পোশাক পরবেন? ঠাকুর দেখতে গেলে একটু স্বাচ্ছন্দ্যের পোশাক পরাই ভাল। এ ক্ষেত্রে একটা সুতির শর্ট ড্রেস আর স্নিকার্স। দিনের বেলা খুব বেশি চড়া সাজ না করাই ভাল। পোশাকের সঙ্গে মানানসই সাজ না হলে কিন্তু পুজোর লুক একেবারে মাটি! চড়া মেক আপ পছন্দ নয়, অথচ পুজোয় হালকা মেক আপ করে ফটোশ্যুট না করলেই নয়! সে ক্ষেত্রে সকাল হোক কিংবা বিকেল, ‘নো মেক আপ’ লুকেই নজর কাড়তে পারেন সকলের! এ ক্ষেত্রে প্রাইমার ব্যবহার করতে ভুলবেন না! হালকা মেক আপও দীর্ঘ ক্ষণ টিকিয়ে রাখতে প্রাইমার কিন্তু লাগাতেই হবে। তার পর ত্বকের রঙের সঙ্গে মানানসই ফাউন্ডেশন, কম্প্যাক ব্যবহার করুন। হালকা শেডের আইশ্যাডো আর কাজল, লাইনার না পরলেও চলবে। খুবই সামান্য পরিমাণে হাইলাইটার ও ব্লাশ। আর ন্যুড শেডের লিপস্টিক! ঠাকুর দেখার সময় খোলা চুল না রাখাই ভাল। এ ক্ষেত্রে টপ পনিটেল বা টপ বান করে নিতেই পারেন। ঠিমছাম সাজেই সম্পূর্ণ করুন ষষ্ঠীর সকালের সাজ।
ষষ্ঠীর বিকেলে পাড়ার পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন। তখন আবার একটু সাবেকি সাজে সাজলেই ভাল। এ ক্ষেত্রে যদি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন তা হলে ষষ্ঠীর বিকেলে শাড়ি পরতেই পারেন। আর তা না হলে একটা কুর্তি তার সঙ্গে মানাসই পেনসিল প্যান্ট আর ওড়নাতেই করতে পারেন বাজিমাত। রাতের সাজে একটু চড়া মেক আপ চলতেই পারে। সেক্ষেত্রে চোখের মেক আপ করতে হবে একটু ধৈর্য ধরে। স্মোকি আই লুকেই নজর কাড়ুন সবার। আই মেক আপ চড়া হলে লিপস্টিকের রং বাছাইয়ের ক্ষেত্রে একটু সতর্ক হতে হবে। চোখের সাজ আর লিপস্টিকের রং দুটোই চড়া হলে কিন্তু সাজ খুব উগ্র দেখাবে। রাতে ঠাকুর দেখার প্ল্যান না থাকলে খোলা চুলেই থাকতে পারেন। আর যদি হঠাৎ ঠাকুর দেখতে বেরিয়েও পড়েন তাহলে একটা মেসি টপ বান করে নিলেই হবে মুশকিল আসান।