Skin Care Tips

শীতের মরসুমে শুষ্কতা আর দূষণের হাত থেকে কী ভাবে বাঁচবে ত্বক? কোন যত্নে হবে কাজ?

শীতের মরসুমে বাড়তে থাকে দূষণ। এই সময় শুষ্কও হয়ে পড়ে ত্বক। শুষ্ক ত্বককে দূষণের হাত থেকে বাঁচাবেন কী ভাবে?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:৫৯
দূষণের হাত থেকে কী ভাবে বাঁচবে ত্বক?

দূষণের হাত থেকে কী ভাবে বাঁচবে ত্বক? ছবি: ফ্রিপিক।

কলকারখানা থেকে গাড়ি, ক্রমবর্ধমান সংখ্যায় বৃদ্ধি পাচ্ছে দূষণ। তার উপর শীতের মরসুমে বাতাসে বেড়ে যায় ধূলিকণার মাত্রা। এই সময় বাতাসে আর্দ্রতাও কমতে থাকায় টান ধরে ত্বকে। এক দিকে শুষ্কতা, অন্য দিকে বাড়তে থাকা দূষণের জোড়া ফলায় কী ভাবে ভাল থাকবে ত্বক?

Advertisement

দূষণের প্রভাব

বাতাসে ভাসমান অতিসূক্ষ্ম ধূলিকণার মাত্রা অতিরিক্ত হয়ে গেলে বাড়তে থাকে দূষণ। আর তার প্রভাব পড়ে ত্বকে। ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, দূষণের ফলে ত্বকে অকালবার্ধক্যের ছাপ পড়তে পারে। বলিরেখা দেখা দিতে পারে, নষ্ট হতে পারে স্থিতিস্থাপকতা। তার ফলে জৌলুস হারাবে ত্বক।

কী ভাবে এই সমস্যার সমাধান হবে? কী ভাবে যত্নে থাকবে ত্বক?

ক্লিনজ়িং: ত্বকে লেগে যাওয়া ধুলো-ময়লা নিয়মিত পরিষ্কার করা খুব জরুরি। শীতের দিনে ক্লিনজ়িংয়ের জন্য গ্লিসারিন বা অ্যালো ভেরা যুক্ত মৃদু কোনও ফেসওয়াশ বেছে নেওয়া যেতে পারে। এই সময় যে হেতু ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় তাই শুষ্ক ত্বকের উপযোগী ফেসওয়াশ ভাল।

অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট: দূষণের হাত থেকে ত্বককে বাঁচাতে বাড়তি সুরক্ষা বলয় প্রয়োজন। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এ ক্ষেত্রে বর্মের কাজ করবে। ফল, সব্জি, বাদাম খেতে পারেন যাতে এই উপাদান রয়েছে। পাশাপাশি ভিটামিন সি, ই, নিয়াসিনামাইড, গ্রিন টি রয়েছে এমন উপাদানযুক্ত ময়েশ্চারাইজ়ার এবং সিরাম এক দিকে যেমন ত্বকে আর্দ্রতা জোগাবে তেমনই দূষণের হাত থেকে বাড়তি সুরক্ষাও দেবে।

আর্দ্রতা: নিষ্প্রাণ ত্বকে জৌলুস ফেরাতে প্রয়োজন আর্দ্রতা। যাঁদের ত্বক এই সময় বেশি শুষ্ক হয়ে পড়ে তাঁরা ময়েশ্চারাইজ়ারের পাশাপাশি হাইলুরোনিক অ্যাসিড, সেরামাইডস যুক্ত সিরামও রূপচর্চার জন্য বেছে নিতে পারেন।

সানস্ক্রিন: সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগনি রশ্মিও ত্বককে শুষ্ক করে দেয়। ফলে ত্বক বাঁচাতে সানস্ক্রিন মাখা খুব জরুরি। দীর্ঘ ক্ষণ চড়া রোদে বা বাইরে থাকতে হলে কয়েক ঘণ্টা অন্তর সানস্ক্রিনের প্রলেপ দেওয়া দরকার।

দূষণরোধী প্রসাধনী: কিছু প্রসাধনীতে দূষণরোধ জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি। এই ধরনের প্রসাধনী দূষণের হাত থেকে ত্বক বাঁচাতে কাজ করে। এমন ফেসওয়াশ, স্ক্রাব, ময়েশ্চারাইজ়ার, সিরাম বেছে নিতে পারেন।

এক্সফোলিয়েশন: ফেশওয়াশে ত্বকের ধুলো-ময়লা পরিষ্কার হয়। তবে মুখে, গায়ে জমে থাকা মৃত কোষ সরাতে দরকার হয় এক্সফোলিয়েশনের। ফেসওয়াশের পাশাপাশি এক্সফোলিয়েশন ত্বককে গভীর ভাবে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। সপ্তাহে দু’দিন স্ক্রাব ব্যবহার করলে দূষণের ঝাপটা কিছুটা এড়ানো যেতে পারে।

পুষ্টিকর খাবার: ত্বকের জেল্লা শুধু রূপচর্চায় আসে না। প্রয়োজন হয় পুষ্টিকর খাবারেরও। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ খাবার ত্বক, চুল শরীর ভাল রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ত্বক ভাল রাখতে দরকার পর্যাপ্ত জল খাওয়ার। ডায়েটে শাক, সব্জি, ফল, ড্রাই ফ্রুটস রাখলে ত্বকও ভাল থাকবে। ভিটামিন সি এবং ই সমৃদ্ধ খাবার ত্বককে দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে এবং স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

আরও পড়ুন
Advertisement