গোলাপ জলেই রূপচর্চা। ছবি: সংগৃহীত।
শীতের দাপট যত বাড়ছে, ত্বক তত শুষ্ক হয়ে পড়ছে। ক্রিম, ময়েশ্চারাইজ়ার মাখার পাশাপাশি সিরাম কিংবা ‘হাইড্রেটিং স্প্রে’ও ব্যবহার করেন অনেকে। এই তরলজাতীয় প্রসাধনী ত্বকে জলের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। রাসায়নিক-মুক্ত সেই সব প্রসাধনী বেশ খরচসাপেক্ষ। আবার, সকলের ত্বকের জন্য উপযুক্ত নয়। তা হলে আর্দ্রতা ধরে রাখার উপায় কী? হাতের কাছে গোলাপ থাকতে চিন্তা কী? আগে একটা সময়ে রূপচর্চায় গোলাপ জলেরই রমরমা ছিল। এখন এত প্রসাধনীর মাঝে সেই গোলাপ জলের কদর খানিক কমেছে। কিন্তু তার অবদান তো অস্বীকার করা যায় না।
ত্বকের কোন উপাকারে লাগে গোলাপ জল?
১) ত্বকে আর্দ্রতার ভারসাম্য বজায় রাখতে গোলাপ জল দারুণ কাজ করে। ত্বকের শুষ্কতা দূর করে, ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতেও সাহায্য করে।
২) ত্বকে পিএইচ-এর ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। গোলাপ জল সেই ভারসাম্য রক্ষা করে ত্বককে মসৃণ, পেলব করে তোলে।
৩) ত্বকে র্যাশ, ব্রণ বা প্রদাহের কারণে যে লালচে ভাব দেখা যায়, তা-ও দূর করতে পারে গোলাপ জল। স্পর্শকাতর ত্বকে রোদ লাগলেও অস্বস্তি হয় অনেকের। তা নির্মূল করতেও গোলাপ জল অব্যর্থ।
ত্বকচর্চায় গোলাপ জল ব্যবহার করবেন কী ভাবে?
১) হালকা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার পর, মুখে টোনার স্প্রে করেন তো? দাম দিয়ে নানা রকম টোনার না কিনে গোলাপ জল মাখতে পারেন।
২) সারা মুখ থেকে খোসা উঠছে। ক্রিম, পেট্রোলিয়াম জেলি মেখেও লাভ হচ্ছে না। গোলাপ জলের সঙ্গে সামান্য অ্যালো ভেরা জেল মিশিয়ে মুখে স্প্রে করতে পারেন।
৩) সপ্তাহে এক দিন মুখে বেসন মাখেন? সমপরিমাণ কাঁচা দুধ এবং গোলাপ জল নিয়ে তার মধ্যে বেসন মিশিয়ে নিন। মুখে খুব শুষ্ক হবে না। ত্বকে জেল্লাও বজায় থাকবে।