Curly Hair

Hair care tips: ৫ টোটকা: কোঁকড়া চুলের যত্নের ক্ষেত্রে ভুললে চলবে না

কোঁকড়া চুল দেখতে যতটা সুন্দর, সামলানো ঠিক ততটাই মুশকিল! এই চুল খুব সহজেই উসকো-খুসকো হয়ে যায়। জট পড়ার প্রবণতাও এ ক্ষেত্রে অনেকটাই বেশি।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২২ ১৬:৩৯
তবে শত ব্যস্ততার মাঝেও স্নানের সময় খানিকটা সময় বার করলেই কোঁকড়ানো চুলের যত্ন নেওয়া সম্ভব।

তবে শত ব্যস্ততার মাঝেও স্নানের সময় খানিকটা সময় বার করলেই কোঁকড়ানো চুলের যত্ন নেওয়া সম্ভব। ছবি: সংগৃহীত

চুল ছোট হোক বা লম্বা, কোঁকড়া চুল মুখের গড়নটাই পাল্টে দেয়। সাজে একটু বদল আনতে ইদানীং অনেকেই কার্লার দিয়ে চুল কোঁকড়া করে নেন। অনেকের আবার প্রকৃতিগত ভাবেই কোঁকড়া চুল। তবে সমস্যা তার যত্ন নিয়ে। কোঁকড়ানো চুল দেখতে যতটা সুন্দর, সামলানো ঠিক ততটাই মুশকিল! এই চুল খুব সহজেই উসকো-খুসকো হয়ে যায়। জট পড়ার প্রবণতাও এ ক্ষেত্রে অনেকটাই বেশি। তবে শত ব্যস্ততার মাঝেও স্নানের সময় খানিকটা সময় বার করলেই কোঁকড়ানো চুলের যত্ন নেওয়া সম্ভব। কী ভাবে?

১) কোঁকড়ানো চুলের ক্ষেত্রে ‘প্রি-শ্যাম্পু ট্রিটমেন্ট’ অত্যন্ত জরুরি বিষয়। চুলের গোড়া থেকে যে প্রাকৃতিক সিরাম নিঃসৃত হয় তা কোঁকড়া চুলের ক্ষেত্রে ডগা পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না। ফলে চুলে রুক্ষ ভাব আসে। এ ক্ষেত্রে শ্যাম্পু করার আগে মাস্ক কিংবা কন্ডিশনিং অয়েল লাগিয়ে শাওয়ার ক্যাপ কিংবা তোয়ালে জড়িয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করুন।

২) চুলের ধরন অনুযায়ী উপযুক্ত শ্যাম্পু নির্বাচন করতে হবে। সুগন্ধি, অ্যালকোহল, সালফেট, সিলিকন এবং প্যারাবেনের মতো রাসায়নিক নেই এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করাই শ্রেয়। মাথার ত্বক খুব ভাল ভাবে ঘষতে হবে যাতে চুলে ময়লা, ধুলোবালি, অতিরিক্ত তেল এবং মৃত কোষ না জমে থাকে।

Advertisement
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

৩) কোঁকড়ানো চুলের ক্ষেত্রে কন্ডিশনিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কন্ডিশনার চুলের কোষ রক্ষা করার পাশাপাশি, পরিবেশগত ক্ষতির হাত থেকেও সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। শ্যাম্পু করার পরও কন্ডিশনার লাগাতে ভুলবেন না যেন।

৪) চুল ধোওয়ার সময় ঠান্ডা জল ব্যবহার করুন। চুলের গোড়া থেকে এক ধরণের প্রাকৃতিক তেল বেরোয় যা চুলের গোড়া শক্ত করতে ও চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। চুল ধোয়ার সময় ঈষদুষ্ণ জল ব্যবহার করলে প্রাকৃতিক তেল বিনষ্ট হয়ে চুল রুক্ষ করে দেয়।

৫) কোঁকড়ানো চুল ব্রাশ করবেন না। শ্যাম্পু করার আগে বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে ভাল করে চুল আঁচড়ে নিন। চুল ধোওয়ার পরে সিরাম ব্যবহার করতে ভুলবেন না। তারপর আঙুল দিয়ে আলতো ভাবে চুলের জট ছাড়াতে কোনও অসুবিধা হবে না। ভেজা চুল কখনই চিরুনি দিয়ে আঁচড়াবেন না। স্নানের পর চুল মোছার জন্য গামছা বা খসখসে তোয়ালে ব্যবহার করবেন না। এর বদলে বেছে নিন মাইক্রো ফাইবারের নরম তোয়ালে। এ ছাড়াও ব্যবহার করতে পারেন সুতির গেঞ্জি কাপড়ের টি শার্ট বা টপ।

আরও পড়ুন
Advertisement