ত্বকে জেল্লা আনতে কোন খাবারগুলি খাবেন? ছবি: সংগৃহীত।
একটা বয়সের পর চামড়া শিথিল হয়ে পড়ে। ত্বকের টানটান ভাবও চলে যায়। তার অন্যতম একটি কারণ হল ত্বকে কোলাজেনের পরিমাণ কমতে থাকা। ত্বক পরিচর্যায় কোলাজেন প্রোটিনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বয়স কোলাজেনের ঘাটতির একটি কারণ হলেও একমাত্র নয়। বাইরের খাবার দেদার খাওয়া, দূষণ, ধূমপান করার মতো কিছু অভ্যাস কোলাজেন উৎপাদনের হার অনেকটা কমিয়ে দেয়। ফলে ত্বক শিথিলতা হারায়। ত্বকের জেল্লাও কমে যায় এর ফলে। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে তাই ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি খাবারের উপর।
মাছ
মাছে অ্যামিনো অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি। তা ছাড়া জিঙ্ক ও কপারের মতো খনিজ পদার্থও থাকে। শরীরে কোলাজেন উৎপাদন করতে এই প্রকার খনিজের প্রয়োজন আছে। এগুলি কোলাজেন প্রোটিন ধ্বংস হতে বাধা দেয়। এর বাইরে মাছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটও থাকে, যা ত্বকের জেল্লা বাড়াতে যা দারুণ উপকারী।
আনারস
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ আনারস যত্ন নেয় শরীরের। এতে জলের পরিমাণও অনেকটা বেশি। শরীরে জলের ঘাটতি মেটাতে আনারস দারুণ কার্যকর। ত্বকের প্রতিটি কোশ সচল রাখতেও আনারস কার্যকর। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আনারস, প্রত্যক্ষ ভাবে শরীরে কোলাজেন উৎপাদনের হার বৃদ্ধি করে। শরীরে জমে থাকা টক্সিন বার করে দিয়ে ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে খেতে পারেন আনারস।
লেবুজাতীয় ফল
এই প্রকার ফলে ভাল মাত্রায় ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে, যা প্রত্যক্ষ ভাবে শরীরের কোলাজেন উৎপাদনের হার বৃদ্ধি করে। লেবুজাতীয় ফলে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড শরীরে জমে থাকা টক্সিন বার করে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। তাই ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে নিয়মিত পাতে রাখতেই হবে লেবুজাতীয় ফল।
সবুজ শাকসব্জি
শরীরে কোলাজেন উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় উৎসেচকগুলির কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে ম্যাঙ্গানিজ। সবুজ শাকসব্জিতে প্রচুর মাত্রায় ম্যাঙ্গানিজ থাকে। তাই ত্বক ভাল রাখতে রোজের খাদ্যতালিকায় রাখতেই হবে পালং, বাঁধাকপি, ব্রকোলির মতো শাকসব্জি।