চোখের তলার কালি তোলার জন্য ঘিয়ের উপর ভরসা রাখতেই পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
সুস্বাস্থ্য পেতে ঘিয়ের জুড়ি মেলা ভার। রান্নার স্বাদ বৃদ্ধিতেও ঘিয়ের জবাব নেই। আর যাঁরা নিরামিষ খান, তাঁদের কাছে তো ঘি প্রায় অপরিহার্য। তবে জানেন কি, হেঁশেলের এই উপকরণটি আপনার রূপচর্চার ক্ষেত্রেও দারুণ উপকারী? চোখের তলায় কালি, বলিরেখা, কালচে দাগ-ছোপ তুলতে ঘিয়ের উপর ভরসা রাখতেই পারেন। প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজ়ার হিসাবেও এই উপাদানটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
ত্বকের পরিচর্যায় কী ভাবে ব্যবহার করবেন ঘি?
১) দুই টেবিল চামচ ঘি, দুই টেবিল চামচ বেসন, এক টেবিল চামচ দুধ মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। মিশ্রণটি সারা মুখ এবং গলায় লাগিয়ে শুকোতে দিন। তার পর ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু’বার এই ফেস মাস্কটি ব্যবহার করতে পারেন। এই ফেসপ্যাক ত্বকের মৃত কোষ দূর করে, ত্বকের তৈলাক্ত ভাব ও ব্রণ কমায়।
২) বয়সের ছাপ হাতেও পড়তে শুরু করেছে? চামড়া কুঁচকে যাচ্ছে? নামীদামি সংস্থার হ্যান্ড ক্রিমের বদলে ঘিয়ের উপরেই ভরসা রাখতে পারেন। ঘি আর নারকেল তেল বা বাদাম তেল সমপরিমাণে নিয়ে খুব ভাল করে মিশিয়ে নিন। ঘি দিয়ে তৈরি হ্যান্ড ক্রিম একেবারে তৈরি। রোজ রাতে হাতে ঘি দিয়ে তৈরি এই ক্রিমটি ব্যবহার করলে অল্প দিনেই ফলাফল পেতে শুরু করবেন।
৩) এক টেবিল চামচ ঘি ও এক টেবিল চামচ মধু ভাল করে মিশিয়ে মুখে লাগান। ১৫-২০ মিনিট রাখার পর ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। দিনে এক বার এই প্যাকটি লাগাতে পারেন। মধুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য ত্বকের বলিরেখা কমাতে দারুণ কাজ করে। মধু এবং ঘিয়ের ফেস মাস্ক ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে।
৪) চোখের তলার কালি তোলার জন্য জন্য দুই থেকে তিন ফোঁটা ঘি আঙুলে নিয়ে আলতো করে চোখের নীচে মালিশ করুন। এ ভাবে সারা রাত রেখে দিন। সকালে ঠান্ডা জলে চোখ ধুয়ে ফেলুন। ঘি প্রয়োগ করলে চোখের নীচের অংশ নরম ও আর্দ্র হয়। চোখের তলায় কালিও দূর হয়।
৫) সারা বছর ধরেই ঠোঁট ফাটার সমস্যায় ভোগেন? সে ক্ষেত্রেও ঘি দিয়ে করতে পারেন মুশকিল আসান। রাতে ঘুমোনোর সময় ঘিয়ের মধ্যে চিনি মিশিয়ে একটি লিপ স্ক্রাব বানিয়ে নিয়ে ঠোঁটে ঘষে নিন। নিয়ম করে এই স্ক্রাব ব্যবহার করলে কিন্তু কয়েক দিনেই ফল পাবেন।