ত্বকে জলের ঘাটতি পূরণ করবেন কী করে? ছবি: সংগৃহীত।
শহরের পারদপতন অব্যাহত। আবহাওয়া দফতর বলছে, মঙ্গলবারই মরসুমের শীতলতম দিন। ভ্যাপসা গরমের চেয়ে কনকনে ঠান্ডার আমেজ তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন সকলেই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ঠান্ডার চোটে জল খাওয়ার কথা মনেই থাকছে না। তেষ্টা প্রায় নেই বললেই চলে। যার ফলে শারীরিক ক্ষতি তো হচ্ছেই, জল কম খাওয়ার প্রভাব পড়ছে ত্বকের উপরেও। শুষ্ক ত্বক আরও খসখসে হচ্ছে। তৈলাক্ত ত্বকের হালও খারাপ। বাইরে থেকে শুধু তেল বা ক্রিম মাখা কিন্তু এই সমস্যার সমাধান হতে পারে না। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে জলের বিকল্প হিসাবে খাওয়া যেতে পারে কয়েকটি খাবার।
১) কাঠবাদাম
ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর কাঠবাদাম ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। তা ছাড়া ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে যে ধরনের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস তৈরি হয়, তা থেকে ত্বককে রক্ষা করে এই বাদাম। নিয়মিত ৫ থেকে ৭টি কাঠবাদাম খেলে ত্বকের স্বাভাবিক ময়েশ্চারাইজ়ারের পরত সুরক্ষিত থাকে।
২) টোম্যাটো
টোম্যাটোর মধ্যে রয়েছে লাইকোপেন, যা আসলে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। পরিবেশে নানা ধরনের দূষণের হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সাহায্য করে এই টোম্যাটো। তা ছাড়া এই সব্জির মধ্যে ভিটামিন সি এবং জলের পরিমাণও বেশি। যা ত্বককে ভিতর থেকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।
৩) চিয়া বীজ
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড-এ ভরপুর চিয়া বীজ ত্বকের স্বাভাবিক তেল বা সেবামের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। তা ছাড়া এই বীজে জলের পরিমাণ অন্যান্য বীজের তুলনায় বেশি। তাই পর্যাপ্ত জল না খাওয়া হলে বিকল্প হিসাবে এই বীজ খাওয়া যেতেই পারে।
৪) ডাবের জল
ডাবের জলে যে যে খনিজ রয়েছে, সেগুলি শরীরের জন্য নিঃসন্দেহে ভাল। শরীরের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন খনিজের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে এই পানীয়। ডাবের জলে রয়েছে সাইটোকাইন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা ত্বকের আর্দ্রতা এবং তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
৫) টক দই
প্রোবায়েটিক খাবার হিসাবে পরিচিত টক দই পেটের জন্য ভাল। অন্ত্র ভাল থাকলে যেমন বিপাকহার ভাল হয়, তেমন ত্বকের উন্নতি সাধনেও সাহায্য করে এই খাবার। দইয়ের মধ্যে রয়েছে ল্যাক্টিক অ্যাসিড, যা ত্বককে ভিতর থেকে আর্দ্র এবং উজ্জ্বল রাখতেও সাহায্য করে।