খুসকি পুরোপুরি নির্মূল করা কঠিন। প্রতীকী ছবি।
শীতকাল আসতে না আসতেই মাথা ভরে যাচ্ছে খুসকিতে। এই খুসকি হল মাথার ত্বকের মরা কোষ। নতুন কোষের জন্ম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাথার মরা কোষ ঝরে পড়ার এই চক্র অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু এই মরা কোষ ঝরে পড়ার পরিমাণ যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়। তখন সত্যিই সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যদিও খুসকি পুরোপুরি নির্মূল করা কঠিন। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
খুসকি দূর করার জন্য রাসায়নিক নানা প্রসাধনী আছে, তবে সেগুলি কতখানি কাজ করে নিশ্চিত করে বলা মুশকিল। কিন্তু আয়ুর্বেদশাস্ত্র মতে, খুসকির সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে বায়ু, পিত্ত এবং কফ— দেহের এই তিনটি উপাদানের (আয়ুর্বেদ মতে 'ত্রিদোষ') ভারসাম্য রক্ষা করতে পারলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কিন্তু বাইরে থেকে কী কী ব্যবহার করলে এই তিনটি উপাদানের ভারসাম্য বজায় থাকবে?
১) নিম
আয়ুর্বেদে নিমকে ‘সর্বরোগহারিনী’ বলা হয়। খুসকি দূর করতে, শ্যাম্পু করার আগের দিন রাতে মাথায় নিম তেল মেখে রেখে দিন। খুসকি হবে না। এ ছাড়া নিম পাতা ফুটিয়ে, ঠান্ডা করে, সেই জল দিয়ে মাথা ধুতে পারেন। কিন্তু সেই দিন আর শ্যাম্পু করা যাবে না।
২) লেবু
সাইট্রিক অ্যাসিড, ভিটামিন সি এবং জিঙ্ক— এই তিনটি পদার্থের মিশ্রণ খুসকির যম। আর এই তিনটি জিনিসই লেবুর রসে রয়েছে। আরও ভাল হয় যদি লেবুর রসের মধ্যে অলিভ অয়েল এবং আদার রস মিশিয়ে নেওয়া যায়।
৩) অ্যালো ভেরা
অ্যালো ভেরার যে কত গুণ, তা নতুন করে বলার নয়। মাথার ত্বকে কোনও সংক্রমণ হলে তা নির্মূল করতে পারে অ্যালো ভেরা। বাজার থেকে কেনা অ্যালো ভেরা জেল বা পাতা থেকেও জেল বার করে নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন মাথার ত্বকে।
৪) আমলকি
শুধু চুল পড়া নয়, যুগ যুগ ধরে খুসকি দূর করতে অনেকেই আমলকির উপরে ভরসা করেন। বাজার থেকে আমলকি গুঁড়ো বা বাড়িতে বানানো আমলকির রস, দুই-ই ব্যবহার করতে পারেন।
৫) মেথি
সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখা মেথি, পরের দিন সকালে পেস্ট করে নিন। এর মধ্যে মিশিয়ে নিন দই এবং লেবুর রস। আধ ঘণ্টা মাথায় মেখে রাখুন এই মিশ্রণ। তার পর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।