Skincare with Ghee

ফাটা ঠোঁট, গোড়ালি কিংবা ‘ডার্ক সার্কল’ দূর করতে আলাদা ক্রিম লাগবে না, ঘি থাকলেই হবে?

ঘিয়ের মধ্যে থাকে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এই তিনটি ভিটামিনই কোনও না কোনও ভাবে ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৪৯
best ways to use ghee in your skincare

মুখ থেকে ফাটা গোড়ালি— সব কিছুর যত্নেই ব্যবহার করুন ঘি। ছবি: সংগৃহীত।

রান্নাবান্না থেকে রূপচর্চা— ঘিয়ের ব্যবহার রয়েছে সর্বত্র। আধুনিক পুষ্টিচর্চায় ঘি হল ‘সুপারফুড’। আসলে ঘিয়ের মধ্যে থাকে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এই তিনটি ভিটামিনই কোনও না কোনও ভাবে ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট তো ‘সর্ব ঘটে কাঁঠালি কলা’র মতো। আবার, বয়স ধরে রাখার গুণও (অ্যান্টি-এজিং প্রপার্টি) রয়েছে ঘিয়ের মধ্যে। বয়সজনিত কারণে ত্বকে যে সমস্যাগুলি হয়, নিয়মিত ব্যবহার করলে সেগুলি নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই সব সমস্যার জন্য আলাদা আলাদা ক্রিম পাওয়া যায় বাজারে। কিন্তু হাতের কাছে ঘি থাকলে আলাদা প্রসাধনীর প্রয়োজন পড়ে না। নিয়মিত ঘি মাখলে আর কী কী উপকার মেলে?

Advertisement

১) ময়েশ্চারাইজ়ার:

ঘিয়ের মধ্যে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড এবং প্রয়োজনীয় বেশ কিছু ভিটামিন। যেগুলি ত্বকের জন্য নিঃসন্দেহে ভাল। শুষ্ক ত্বক পেলব করতে এবং আর্দ্রতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে ঘি।

২) আন্ডার আই ক্রিম:

ঘুমের অভাবে চোখের নীচে কালচে দাগ পড়ছে? রোজ কয়েক ফোঁটা ঘি লাগান ওই জায়গায়। কমে যাবে কালচে দাগ।

৩) লিপ বাম:

ফাটা কিংবা কালচে ঠোঁট— একাধিক সমস্যার একটাই সমাধান ঘি। বাজার থেকে কেনা লিপ বামের বদলে কয়েক ফোঁটা ঘি মাখলেই সমস্যার সমাধান সম্ভব।

৪) ফেস মাস্ক:

ঘি, মধু এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস— এই তিন উপাদান দিয়ে তৈরি করুন একটি মিশ্রণ। ভাল করে মুখ ধুয়ে সেই মাস্ক মেখে রাখুন আধ ঘণ্টা। ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে সাহায্য করে এই মাস্ক।

৫) ফুট ক্রিম:

ফাটা গোড়ালির সমস্যা শুধু শীতে নয়, সারা বছরই হতে পারে। বাজারে যে সব ফুট ক্রিম পাওয়া যায়, সেগুলির মধ্যে রাসায়নিক থাকে। তাই ঘরোয়া টোটকা হিসাবে ঘিয়ের উপর ভরসা রাখা যেতে পারে।

Advertisement
আরও পড়ুন