চুন ছাড়া পান খাওয়ার কথা শুনেছেন কখনও? অনেকে মনে করেন, পানে চুন দিলে তা হজমের ক্ষমতা বা়ড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এই চুন যে রূপচর্চার কাজে লাগে, তা হয়তো জানেন না অনেকেই। চুনের মূল উপাদান ক্যালশিয়াম কার্বোনেট এবং বিভিন্ন খনিজ। যা ত্বকের জন্য উপকারী। শোনা যায়, এই চুন দিয়েই প্রাচীনকালে রূপচর্চা করতেন মহিলারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ত্বকচর্চায় চুন ব্যবহার করলেও তার পরিমাণে যেন গোলমাল না হয়। চুনের মাত্রা একটু বেশি হয়ে গেলেই কিন্তু ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
রূপচর্চায় কী ভাবে চুন ব্যবহার করা যায়?
১) এক্সফলিয়েশন
ত্বক থেকে মৃত কোষ বা মরা চামড়া তুলে ফেলতে দারুণ ভাবে কাজ করে এই চুন। ত্বকের মসৃণতা বজায় রাখতে স্ক্রাব ব্যবহার করেন অনেকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই স্ক্রাবের মধ্যে চুন মিশিয়ে নেওয়া যেতেই পারে। মসৃণ ত্বক পেতে চুনের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
২) তৈলাক্ত ত্বকের জন্য
ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে চুনের। মুখের ‘টি জ়োন’ থেকে তেল শুষে নেওয়ার জন্য ইদানীং ‘শিট মাস্ক’ পাওয়া যায় বাজারে। তবে সেগুলি বেশ খরচসাপেক্ষ। কিন্তু খরচ করতে না চাইলে সেই একই ফল পাওয়া যেতে পারে চুন ব্যবহার করে।
৩) চুলের জন্য ভাল
মাথার ত্বক যদি অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়, সে ক্ষেত্রে চুন কিন্তু ম্যাজিকের মতো কাজ করে। মাথার ত্বকে ধুলো-ময়লা জমেও সেখান থেকে খুশকির প্রকোপ বাড়তে পারে। সেবাম ক্ষরণের হার নিয়ন্ত্রণ করতে চুলের মাস্কে চুন ব্যবহার করা যেতেই পারে।
৪) প্রাকৃতিক সুগন্ধি
বর্ষাকালে স্যাঁতসেঁতে গন্ধ দূর করতে ঘরের কোণে বা ‘ডিয়োডরেন্ট’-এর বিকল্প হিসাবে চুন ব্যবহার করা যেতেই পারে। চুনের মধ্যে আর্দ্রতা শুষে নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে চুনের মধ্যে। যাঁদের অতিরিক্ত ঘাম হয়, তাঁরা পাউডারে সামান্য চুন গুঁড়ো করে মিশিয়ে নিতে পারেন।
৫) পায়ের যত্নে
সারা দিন হাঁটাহাঁটি করার পর আরাম পেতে উষ্ণ জলে পা ডুবিয়ে রাখেন অনেকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পা ধোয়ার এই জলে চুনের গুঁড়ো মিশিয়ে তা পায়ের ত্বকের কোমলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। পায়ের পাতা থেকে মৃত কোষ সরিয়ে পায়ের ত্বক মসৃণ করে তোলে।