বয়স ধরে রাখতে অভিনব পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন নেটমাধ্যমে প্রভাবী এক তরুণী। ছবি- সংগৃহীত
বয়স বাড়লে মুখের চামড়া কুঁচকে যাওয়া মুখে বলিরেখা পড়াই স্বাভাবিক। কিন্তু এই স্বাভবিক প্রক্রিয়ার ফলে মুখে যে পরিবর্তন আসে, তা মেনে নিতে পারেন না অনেকে। তাই প্রথমে বিভিন্ন রকম প্রসাধনীর সাহায্য নেন। তাতে কাজ না হলে ব্যয়বহুল বোটক্সের মতো রাসায়নিক চিকিৎসার সাহায্যও নিয়ে থাকেন। কিন্তু এত খরচ করে যে চিকিৎসা করা হয়, তার মেয়াদ কত দিন? এই পদ্ধতি কি সত্যিই খুব কার্যকর? সকলের পক্ষে ব্যয়বহুল এই চিকিৎসা করানোও সম্ভব হয় না। তাই বিকল্প পদ্ধতির সন্ধান করেন এমন মানুষও আছেন। বয়স ধরে রাখার তেমনই একটি সহজ ফিকিরের ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সম্প্রতি।
ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, নেটমাধ্যমে প্রভাবী ওই তরুণী দেখিয়েছেন, মুখের বিভিন্ন অংশে ব্যান্ডেজ করে কী ভাবে বয়স ধরে রাখা যায়। তিনি বলেন, “প্রথমটায় আমি আমার অসমান্তরাল ভ্রু যুগলকে সমান একটি রেখায় আনার জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করেছিলাম। কিন্তু ক্রমে বুঝতে পারি, তা প্রাকৃতিক বোটক্সের মতোই কাজ করছে।”
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ক্রমাগত পেশির সঙ্কোচন-প্রসারণের জন্য ত্বকে বলিরেখা পড়ে। কপালে ভাঁজ পড়ে, গালের চামড়া কুঁচকে যায়। তখন বোটক্স ইনজেকশন দিয়ে কিছু পেশিকে শিথিল করে দেওয়া হয়। ফলে সে সব পেশি সঙ্কুচিত হতে পারে না, অবশ হয়ে পড়ে থাকে। চোখের কোণের ভাঁজে, গালে বলিরেখার অংশে এই ইনজেকশন দিলে আর ভাঁজ পড়ে না। ত্বক টান টান থাকে, দেখতেও তরুণ লাগে।
তবে এই ‘টেপিং’ পদ্ধতিটিও কিন্তু চিরস্থায়ী নয়। মিসিসিপি শহরের এক চিকিৎসক লিন্ডসে জ়ুব্রিটস্কি বলেন, “এই পদ্ধতি যথেষ্ট কার্যকর। কিন্তু তার জন্য সঠিক জায়গায় আঠাযুক্ত টেপ ব্যান্ডেজ লাগানো জরুরি। এই টেপের সাহায্যে মুখের ঝুলে যাওয়া অংশগুলিকে টানটান করে রাখা সম্ভব। কিছু ক্ষেত্রে পেশির সঙ্কোচন এবং প্রসারণও নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু এই পদ্ধতি কখনওই দীর্ঘমেয়াদি ফল দিতে পারে না।”
ব্যয়বহুল বোটক্স চিকিৎসার বিকল্প হিসাবে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে অনেকেই তারুণ্য ধরে রাখেন বলে ইঙ্গিত দিলেন ওই প্রভাবী। কিন্তু লিন্ডসের মতে, “এই টেপের আঠা থেকে ত্বকে সংক্রমণ হওয়া অস্বাভাবিক নয়। কারণ, টেপের আঠায় যে ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকে, তা থেকে ত্বকে নানা রকম র্যাশ বা অ্যালার্জির হওয়ার আশঙ্কা প্রবল।”