রোদ লেগে ফেশিয়াল করানো মুখ তো ঝামা হয়ে যাবে। তা হলে উপায়? ছবি: সংগৃহীত।
যতই ভিড় হোক না কেন, পুজোর সময় শহর ছেড়ে অন্য কোথাও যাওয়ার প্রশ্নই নেই। ভিড় ঠেলে, লাইনে দাঁড়িয়ে, ঘেমে নেয়ে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘোরার মজাই আলাদা। তবে জনস্রোতের দাপট একটু হলেও কম থাকে সকালের দিকে। তাই সকালের দিকেই মা-বাবাকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে বেরোবেন বলে ঠিক করেছেন। কিন্তু ঠাকুর দেখতে গেলে তো মণ্ডপের এক কিলোমিটার আগে থেকে হাঁটতে হয়। চড়া রোদ মাথায় নিয়ে যে ঠাকুর দেখতে বেরোবেন, রোদ লেগে ফেশিয়াল করানো মুখ তো ঝামা হয়ে যাবে! হাতকাটা পোশাক পরবেন, পিঠ কাটা ব্লাউজ পরবেন অথচ রোদ লেগে ত্বক পুড়বে না, সানবার্ন হবে না, এমন টোটকা আছে কি?
১) দু’ঘণ্টা অন্তর সানস্ক্রিন মাখুন
বাড়ি থেকে বেরোনোর আধঘণ্টা আগে সানস্ক্রিন মেখে বেরোবেন। কিন্তু সেই সানস্ক্রিন সারা দিন ধরে আপনার ত্বক সুরক্ষিত রাখতে পারবে না। তাই ঘণ্টা দুই অন্তর দেহের খোলা অংশে সানস্ক্রিনের প্রলেপ দিয়ে নিতে হবে।
২) খোলা অংশ ঢেকে বেরোন
পোশাকের সঙ্গে মানানসই পাতলা স্টোল, শ্রাগ ব্যবহার করতে পারেন। চুড়িদার পরলে তার ওড়না দিয়েই চুল এবং দেহের অনাবৃত অংশ ঢেকে রাখুন।
৩) ছায়া দেখে দাঁড়ান, সঙ্গে ছাতা রাখুন
মণ্ডপে প্রবেশ করার আগে বেশ অনেক ক্ষণ লাইনে দাঁড়াতে হতে পারে। তবে আশপাশে দোকান বা গাছের ছায়া দেখে দাঁড়ান। সঙ্গে থাকা বয়স্ক কিংবা বাচ্চাদেরও ছায়া দেখে দাঁড়াতে বলুন।
৪) অ্যালো ভেরা জেল সঙ্গে রাখুন
রোদ লেগে স্পর্শকাতর ত্বক যদি খুব জ্বালা করে, লাল হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে অ্যালো ভেরা জেল কিন্তু কাজে আসতে পারে। দেহের যে অংশে অস্বস্তি হবে, সেখানে সরাসরি অ্যালো ভেরা জেল মেখে নিতে পারেন।
৫) শরীর আর্দ্র রাখুন
বাইরে থেকে যা-ই করুন, ভিতর থেকে ত্বক আর্দ্র রাখতে ভুলবেন না। লাইনে দাঁড়িয়ে, ঘেমে নেয়ে ঠাকুর দেখুন। সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে জলও খান। ত্বক আর্দ্র না হলে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ত্বককে আরও শুষ্ক করে দিতে পারে।