বাড়িতে নিয়মিত যত্ন না নিলে জেল্লা কখনওই ফিরবে না। ছবি- সংগৃহীত
বছরের আর পাঁচটা সময়ে ত্বক পরিচর্যার দিকে ততটা মন না দিলেও, পুজোর মাস খানেক আগে থেকে শুরু হয়ে যায় রূপচর্চার হিড়িক। খাদ্যাভাসে অনিয়ম ও দূষণের জেরে ত্বকের বারোটা বাজে। পার্লারে গিয়ে ফেশিয়াল করালে শুধু চলে না। বাড়িতে নিয়মিত যত্ন না নিলে জেল্লা কখনওই ফিরবে না। বাড়িতে ত্বকের যত্ন মানেই নামী-দামি প্রসাধনী ব্যবহার করতে হবে, এমন নয়। হাতের কাছেই রয়েছে সহজ সমাধান। ভরসা রাখুন কাঁচা দুধে। কেবল এখন নয়, প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চার প্রধান উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করা হয়ে আসছে কাঁচা দুধ।
ত্বক পরিচর্যায় কাঁচা দুধ:
১) ক্লিনজার হিসাবে কাঁচা দুধের জুড়ি মেলা ভার। দুধে ভরপুর মাত্রায় ভিটামিন থাকে। তা ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে সাহায্য করে। গরমে রোদে পুড়ে ত্বক নিস্তেজ দেখায়। রোদ থেকে বাড়ি ফিরে কাঁচা দুধ তুলোয় ভিজিয়ে লাগিয়ে নিতে পারেন।
২) কাঁচা দুধ প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসাবেও কাজ করে। এটি ত্বকের গভীরে ঢুকে আর্দ্রতা ধরে রাখে। শুষ্ক ত্বকের সমস্যা থাকলে কাঁচা দুধ কিন্তু ভীষণ উপকারী।
৩) দুধে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকে সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। ব্রণ, ফুসকুড়ির সমস্যায় যাঁরা প্রায়ই নাজেহাল হন, তাঁরাও রূপচর্চার জন্য কাঁচা দুধ ব্যবহার করতে পারেন।
৪) কাঁচা দুধ মাখলে ত্বকে কোলাজেন উৎপাদনের হার বেড়ে যায়। ফলে নতুন কোষ গঠন হয়। তাই কাঁচা দুধ ত্বকে বয়েসের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতেও সাহায্য করে। দুধে উপস্থিত ভিটামিন ডি ত্বককে মসৃণ ও টানটান রাখে।
৫) কাঁচা দুধে বিটা হাইড্রক্সি অ্যাসিড থাকে। এই উপাদানটি ত্বকের মৃতকোষগুলি দূর করতে সাহায্য করে।
ত্বক পরিচর্যায় কী ভাবে ব্যবহার করবেন কাঁচা দুধ?
১) ত্বকের জেল্লা ফিরিয়ে আনতে কাঁচা দুধ, বেসন, মধু আর এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে ব্যবহার করুন। মিনিট ১৫ রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
২) ত্বকে বলিরেখা দেখা দিচ্ছে? টক দই ও কাঁচা দুধ দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে নিন। সারা মুখে ভাল করে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। তার পর জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এই ফেসপ্যাকেই টানটান হবে ত্বক।