সুন্দর দেখাতে যথাযথ রূপটানের পাশাপাশি চাই উজ্জ্বল-মসৃণ চুল। ছবি-প্রতীকী
বাতাসে পুজোর আমেজ। মাঝে আর কয়েকটি দিন। তার পরেই পুজোর কাঠি পড়বে ঢাকে। দুর্গা আবাহনের প্রস্তুতি তুঙ্গে। কেনাকাটা, উপহার বিনিময়ের পাশাপাশি চলছে রূপচর্চাও। সুন্দর পোশাক পরলেই তো হল না, তার সঙ্গে চাই সাজগোজ। সুন্দর দেখাতে যথাযথ রূপটানের পাশাপাশি চাই উজ্জ্বল-মসৃণ চুল। তার জন্য প্রয়োজন চুলের বিশেষ যত্ন। শ্যাম্পু, কন্ডিশনার এবং হেনার ব্যবহার চুলের যত্নের শেষ কথা নয়। পুজোর আগে বিউটিপার্লারগুলিতেও পা ফেলার জায়গা নেই। ঝলমলে চুল পেতে বাড়িতেই করুন চুলের পরিচর্যা।
পুজোর ভিড়ে নিজেকে আলাদা করে চেনাতে কেমন হবে চুলের বিশেষ যত্ন?
১) চুলে তেল মাখার চল প্রায় উঠতে বসেছে। কেশসজ্জা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চুল মসৃণ ও ঝলমলে করে তুলতে নারকেল তেলের ব্যবহার কিন্তু জরুরি। পুজোর আর যে কয়েকটি দিন বাকি আছে, চুলে নারকেল তেল মাখতে পারেন। চুল নরম ও মসৃণ হবে।
২) সপ্তাহে দু’দিন অন্তত ব্যবহার করুন ‘হেয়ার মাস্ক’। ঘরোয়া মাস্ক ব্যবহার করতে চাইলে কলা, মধু, ডিম দিয়ে তা বানিয়ে নিতে পারেন। দোকানেও অনেক মাস্ক কিনতে পাওয়া যায়। চাইলে সেগুলিও ব্যবহার করতে পারেন।
৩) বাইরে থেকে নয়, চুলের যত্ন নিন ভিতর থেকেও। ভিটামিন সি, আয়রন, মিনারেলস, প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার রোজের পাতে রাখুন বেশি করে। ডিম, বাদামের মতো ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ খাবার রোজ খান। এতে চুলের গোড়া মজবুত ও শক্তিশালী হবে।
চুলের যত্ন নিতে কী করবেন না
১) ড্রায়ার, স্ট্রেটনার, কার্লারের মতো প্রসাধন সামগ্রীর ব্যবহার কিছু দিন বন্ধ রাখুন। আপাতদৃষ্টিতে দেখতে ভাল লাগলেও এতে ক্ষতি হয় চুলের। চুলের জেল্লা কমে যায়। কেতাদুরস্ত পোশাকের সঙ্গে কিন্তু জেল্লাহীন চুল মোটেই ভাল লাগবে না।
২) বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমান। পেট সুস্থ থাকলে সুন্দর থাকবে ত্বক ও চুল। এই কয়েকটি দিন ভরসা রাখুন ঘরোয়া খাবারে। চুলের জেল্লা ধরে রাখতে পুজোর আগে দূরে থাকুন মিষ্টি, প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকেও।
৩) এখন অনেক বাজারচলতি শ্যাম্পুর উপকরণে ক্ষতিকারক কিছু রাসায়নিক উপাদান থাকে। এতে চুল রুক্ষ ও জেল্লাহীন হয়ে পড়ে। পুজোয় চুলের ঝলমলে ভাব ধরে রাখতে বাজারচলতি এমন কিছু শ্যাম্পু ব্যবহার না করারই চেষ্টা করুন।