—প্রতীকী ছবি।
চুল ঝরা, চুল পাতলা হয়ে যাওয়া, অমসৃণ চুল— চুল নিয়ে নানাবিধ সমস্যায় নাজেহাল অনেকেই। চুলের নানা সমস্যা থেকে দূরে থাকতে অনেকেই বাজারচলতি নানা প্রসাধনী ব্যবহার করেন। তাতে সাময়িক সুফল হয়তো পাওয়া যায়। কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী কোনও লাভ হয় না। প্রসাধনী ব্যবহার করা বন্ধ করে দিলে আবার সেই আগের সমস্যা ঘুরে ফিরে আসে। পুজোর আগে শুধু তো ত্বক নয়, যত্ন নিতে হবে চুলেরও। তার জন্য ভরসা রাখতে পারেন জবাফুলের উপর। জবাফুলের গুণেই চুলে আসবে জেল্লা। কেশচর্চায় কী ভাবে ব্যবহার করবেন জবাফুল?
চুল লম্বা করতে
লম্বা চুলের স্বপ্নপূরণ করতে নানা প্রসাধনী ব্যবহার করেও ব্যর্থ হয়েছেন? তা হলে ভরসা রাখতে পারেন জবাফুলের মাস্কের উপর। জবাফুল শুকিয়ে গুঁড়ো করে পাউডারের মতো করে নিন। তার পর সেই পাউডার নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলে মাখতে পারেন। চুল বড় করতে এই টোটকার জুড়ি মেলা ভার।
খুশকির সমস্যায়
শীত, বর্ষায় তো বটেই, সারা বছরই খুশকির সমস্যায় অস্বস্তিতে থাকেন অনেকে। ঘরোয়া টোটকার ব্যবহারেও অনেক সময়ে খুশকি দূর হতে চায় না। সে ক্ষেত্রে এক কাপ জবাফুলের চা বানিয়ে ঠান্ডা করে রাখুন। শ্যাম্পু করার পর সেই চা দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। কয়েক দিনের ব্যবহারে খুশকি চলে যাবে।
চুল ঝরা থামাতে
চিরুনি চালালেই চুল ঝরছে। এমন সমস্যা রয়েছে অনেকেরই। চুল যাতে মাটিতে নয়, মাথায় বেশি থাকে, তার জন্য জবাফুল হতে পারে অন্যতম ভরসা। জবাফুলের পাপড়ি এবং অ্যালো ভেরা একসঙ্গে মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ বানিয়ে নিন। মাথার ত্বকে সেই জেল লাগিয়ে ৩০ মিনিট মতো রেখে দিন। মাসখানেক ব্যবহার করলে চুল ঝরবে কম।
শুষ্ক চুলের জন্য
প্রসাধনী ব্যবহার করেও অনেক সময়ে চুল মসৃণ এবং জেল্লাদার হয় না। বরং চুলের নিজস্ব জেল্লা হারাতে শুরু করে। চুল শুষ্ক হয়ে যায়। শুষ্ক চুলের দাওয়াই কিন্তু হতে পারে জবাফুলের পাপড়িগুলি ফুটিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। তার পর সেটি একটি স্প্রে বোতলে ভরে চুলে স্প্রে করুন মাঝেমাঝে। চুলে আসবে দারুণ জেল্লা।