শ্যাম্পু করার সময়েও ব্যবহার করে থাকেন গরম জল। ছবি: সংগৃহীত
শীতকাল মানে বড়দিন, পৌষপার্বণ, নববর্ষ। তেমনই শীতকালেই চুল আর ত্বকে দেখা দেয় নানা রকম সমস্যা। ত্বক শুকিয়ে খসখসে হয়ে যায়। অনেকেই ত্বকের যত্নে ব্যবহার করেন ময়েশ্চারাইজার। নানা ধরনের প্রসাধনী। তবে শীতে ত্বকের পাশাপাশি চুলেরও চাই সমান পরিচর্যা।
শীতকালে অনেকেই গরম জলে স্নান করেন। শ্যাম্পু করার সময়েও ব্যবহার করে থাকেন গরম জল। এই গরম জলের স্নান করার অভ্যাসে চুলে নানা সমস্যা দেখা দেয়। খুসকি, মাথার ত্বকে চুলকানির মতো কয়েকটি সমস্যা বেড়ে যায়। এর কারণ গরম জল মাথার ত্বকে হাইড্রোজেনের পরিমাণ অনেক কমিয়ে দেয়। ফলে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়ে। চুল পড়তে থাকে। চুলের আগা ফেটে যায়। ত্বকের মতো চুলও নিজস্ব জেল্লা হারাতে থাকে। গরম জলের প্রভাবে মাথার ত্বক অত্যধিক শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে র্যাশ, ফুসকুড়ি জন্ম নিতে থাকে।
চুল ভাল রাখতে ঠান্ডা জলে স্নান করা ভাল। স্নানের সময়ে হয়তো একটু শীত কাঁপবেন। কিন্তু এতে ত্বক এবং চুল দুই-ই ভাল থাকবে। মাথার ত্বকে থাকা পুষ্টি বজায় রাখে ঠান্ডা জল। সেই সঙ্গে মানসিক চাপ কমাতেও ঠান্ডা জল দারুণ উপকারী। এত উপকার থাকা সত্ত্বেও ঠান্ডা জলে স্নান করারও কিছু সমস্যা রয়েছে। শীতে ঠান্ডা জলে স্নান করলে চুল নিজস্ব আর্দ্রতা হারায়। চুলে থাকা কিউটিকলগুলি নষ্ট হয়ে যায়। ফলে চুল ঝরতে থাকে। গরম জল এবং ঠান্ডা জল— দু’টিতেই যদি সমস্যা হয়, তা হলে কি গোটা শীতকালে শ্যাম্পু না করাই শ্রেয়?
এর একটি উপায় রয়েছে। সবচেয়ে ভাল হয় যদি গরম এবং ঠান্ডা জল একসঙ্গে মিশিয়ে নেওয়া যায়। গরম জলে ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়ামের মতো খনিজ উপাদান থাকে, যা মাথার ত্বক এবং চুলে জমাট বেঁধে থেকে ক্ষতি করে। আবার ঠান্ডা জলে স্নান করলেও মাথার ত্বকের ছিদ্রমুখগুলি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে নোংরা জমে নানা রকম ব্যাক্টেরিয়ার জন্ম দেয়। এবং তা থেকে র্যাশ হয়। তাই শুধু গরম বা ঠান্ডা জলে স্নান না করে বরং দু’টি মিশিয়ে করুন।
শীতকালে প্রতি দিন শ্যাম্পু করাও ঠিক নয়। তবে যে দিন করবেন, সে দিন ঠান্ডা ও গরম জল মিশিয়ে স্নান করলে খুব সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এতে চুলে পিএইচের মাত্রা কিছুটা হলেও ঠিক থাকে। তাই শীতকালে শ্যাম্পু করলে সব সময়ে ঠান্ডা এবং গরম জল মিশিয়েই করুন।