কিয়ারার জেল্লাদার ত্বকের রহস্য কী? ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
কিয়ারা আডবাণী। এই মুহূর্তে বলিউডে রাজত্ব করছেন যে নায়িকারা তাঁদের অন্যতম একটি নাম। ‘কবীর সিংহ’, ‘শেরশাহ’ ‘যুগ যুগ জিও’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করার পাশাপাশি বিবাহিত জীবন নিয়ে চর্চার কেন্দ্রে থাকেন অভিনেত্রী। তাঁর অভিনয় ক্ষমতার পাশাপাশি ঝকঝকে চেহারাও নজর কাড়ে অনুরাগীদের।
কিয়ারার মতো ত্বকের প্রত্যাশী অনেকেই। কিন্তু ত্বকের যত্ন নিতে কিয়ার কিন্তু যথেষ্ট পরিশ্রমী। অনেকেই হয়তো জানেন না, কিয়ারা ত্বকের যত্নে ভরসা রাখেন ঘরোয়া উপাদানের উপর। একেবারে হেঁশেলের চেনা উপকরণগুলিও থাকে তাঁর রোজের রূপরুটিনে। শুনে অবাক লাগলেও কিয়ারা ত্বক পরিচর্যা করেন বেসন দিয়ে। হয়তো ভাবছেন বেসন দিয়ে ত্বকের যত্ন তো আপনিও নেন, কিন্তু কিয়ারার মতো ত্বকের জেল্লা কেন আসছে না? হতে পারে পদ্ধতিগত কোনও ভুল থেকে যাচ্ছে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের ত্বক পরিচর্যার রহস্য ফাঁস করেছেন কিয়ারা। তিনি বলেন, ‘‘হেঁশেলের প্রাকৃতিক উপকরণগুলি থেকে যে জেল্লা পাওয়া যায়, তেমন জেল্লা নামিদামী প্রসাধনী ব্যবহার করেও পাওয়া যায় না। আমি ত্বক পরিচর্যার জন্য ঠাকুরমার বলে দেওয়া ফেস প্যাক বছরের পর বছর ধরে ব্যবহার করি।’’
কিয়ারার ঠাকুরমার সেই গোপন ফেস প্যাকের প্রণালী অভিনেত্রী নিজেই ভাগ করে নিয়েছেন অনুরাগীদের সঙ্গে। কিয়ারা বলেন, ‘‘একটু বেসনের সঙ্গে দুধ কিংবা দুধের সর আর মধু মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিতে পারেন। আমার ঠাকুরমার বলে দেওয়া মাস্কগুলির মধ্যে এই মাস্কটি সেরা ডিটক্স মাস্ক। এ ছাড়া বাড়িতে ফল ও সব্জি দিয়ে বানানো ফেস প্যাকেই সবচেয়ে বেশি জেল্লা আসে ত্বকে। ফল বা সবজি খাওয়ার পর তাদের খোসাগুলি ফেলে না দিয়ে রূপচর্চায় কাজে লাগাতে বলেছিলেন আমার ঠাকুরমা। এই টোটকা কিন্তু দারুণ কাজে আসে।’’
সারা দিন শুটিং, বাইরে বাইরে ভ্রমণ করেও এত উজ্জ্বল ত্বক কী ভাবে ধরে রেখেছেন কিয়ারা? উত্তরে নায়িকা বলেন, ‘‘আমার ইতিমধ্যেই ৩০ বছর বয়স হয়ে গিয়েছে, এখন ত্বকের প্রতি অনেক বেশি যত্নশীল হয়েছি। মেকআপ তোলার সঙ্গে সঙ্গে ময়শ্চারাইজ়ার, সানব্লক ব্যবহার করি। আর ত্বক পরিচর্যার জন্য জীবনধারায়ও বদল আনা জরুরি। এর জন্য পর্যাপ্ত সময় ধরে ঘুমোনো, নিয়ম করে শরীরচর্চা, পরিমাণ মতো জল খাওয়া, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করি সর্ব ক্ষণ।’’