ছবি : ইনস্টাগ্রাম।
রণবীর সিংহ হাঁটুঝুলের প্লিট দেওয়া স্কার্টের সঙ্গে চুড়িদার পাজামা, জওহর কোট আর শুঁড় তোলা জুতো পরে ঘুরে বেড়াতে পারেন। শাহরুখ খান জমকালো শেরওয়ানির উপর গলা থেকে বুক ঢাকা পান্নার নেকলেস পরতে পারেন। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, ওঁদের মতো ফ্যাশন ট্রেন্ডে থাকা যাবতীয় পোশাক-আশাক গায়ে চাপিয়ে নিলেই আপনিও ‘স্টাইলিশ’ বা ‘কেতাদুরস্ত’ হয়ে যাবেন! বলিউডের আর এক অভিনেতা সিদ্ধার্থ মালহোত্র মনে করেন, ‘স্টাইল’ কখনওই ফ্যাশনের ‘ঘনঘটা’ নয়। দারুণ পোশাক বা দারুণ দেখতে জুতো-বেল্ট-ঘড়ি-গয়নার মতো কিছু সাজের অনুষঙ্গ স্রেফ পরে নিলেই হল না। সিদ্ধার্থ বলছেন, ‘‘আমার কাছে স্টাইল হবে আয়াসহীন। সহজ। দেখে যেন মনে না হয়, আপনি কিছু হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন। বরং স্টাইল সেটাই, যখন আপনার সাজ দেখে মনে হবে তা যেন আপনার জন্যই তৈরি হয়েছে।’’
বলিউডে দেখতে দেখতে এক যুগ পার করে ফেললেন সিদ্ধার্থ। ২০১২ সালের কর্ণ জোহরের ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’ ছবিতে পর্দায় আসার পরে বলিউডের টিনএজ ভক্তদের মনে সাম্রাজ্য বিস্তার করেছিলেন তিনি। ছবির আর এক নায়ক বরুণ ধওয়ান প্রথমটায় তত জনপ্রিয় হননি। সিদ্ধার্থ এগিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর স্টাইলের জোরেই। এখনও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সিদ্ধার্থের পোশাক-আশাক, সাজগোজের প্রশংসা করেন ফ্যাশনবিজ্ঞেরা। এক সাক্ষাৎকারে সেই সাজগোজ নিয়েই প্রশ্ন করা হয়েছিল সিদ্ধার্থকে। সিদ্ধার্থের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তাঁর কাছে ‘স্টাইল’ আদতে কী? জবাবে সিদ্ধার্থ বলেছেন, ‘‘ফ্যাশনেবল হওয়া মানেই সাজগোজের বাড়াবাড়ি নয়। আমার কাছে স্টাইল সব সময় হবে অনায়াস।’’
সিদ্ধার্থের কাছে পোশাকের ফিটিং অত্যন্ত জরুরি। অভিনেতা জানিয়েছেন, তিনি ব্যক্তিগত ভাবে তাঁর পোশাক তৈরির বিষয়টি তদারকি করেন, যাঁতে কোথাও ফিটিংয়ের কোনও সমস্যা না হয়। ফ্যাশন দুনিয়ার মডেল হিসাবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন সিদ্ধার্থ। তবে তিনি বলছেন, ‘‘সিনেমার দুনিয়ায় কাটানো শেষ ১২ বছরে ফ্যাশনবোধ আরও পরিণত হয়েছে আমার। এখন আমার কাছে স্টাইল মানে অনেক বেশি মার্জিতবোধ আর রুচিবোধের প্রকাশ। তবে আমার দৈনন্দিন পোশাক-আশাকে আমি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিই স্বাচ্ছন্দ্যকে। আমি মনে করি, সাজগোজ সহজ হওয়াটা জরুরি।’’ তবে তার মানে তিনি ফ্যাশন নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করার বিপক্ষেও নন। সিদ্ধার্থ বলছেন, ‘‘পুরুষদের ফ্যাশন নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করার অনেক সুযোগ রয়েছে। আমিও করি। তবে সে ক্ষেত্রেও স্বাচ্ছন্দ্যকেই সবার উপরে রাখি।’’