মৌনীকে শুনতে হয়েছিল যে, তাঁর শরীরের অধিকাংশই নাকি প্লাস্টিকের তৈরি। ছবি: সংগৃহীত
কৃত্রিম ভাবে সুন্দরী হওয়ার চল বলিউডে অনেক দিন ধরেই চলছে। কখনও নাক তীক্ষ্ণ করতে নোজ় জব, আবার কখনও ঠোঁটের ভোল পাল্টে দেওয়া লিপ জব। নিজের সৌন্দর্যের ধারে শান দিতে শরীরে ছুরি-কাঁচি চালিয়েছেন, এমন তারকার সংখ্যা কম নয়। বি-টাউনে কান পাতলে ভেসে আসবে এমন অজস্র নাম। শ্রীদেবী থেকে প্রিয়ঙ্কা চোপড়া— এ তালিকা দীর্ঘ। তবে এই তালিকার আরও একটি নাম মৌনী রায়। ‘হেয়ারলাইন কারেকশন’ থেকে ‘ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট’— নিজেকে বাহ্যিক ভাবে আরও সুন্দর করে তুলতে চেষ্টার খামতি রাখনেনি ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ খ্যাত অভিনেত্রী। একটা সময় ছিল, যখন প্রতি মাসেই নব নব রূপে দর্শকের সামনে আসতেন মৌনী। অভিনেত্রীর প্লাস্টিক সার্জারি নিয়ে চর্চাও কম হয়নি। মৌনীকে শুনতে হয়েছিল যে, তাঁর শরীরের অধিকাংশই নাকি প্লাস্টিকের তৈরি। তবে সমালোচনাকে পাত্তা না দিয়ে বরং নিজের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজেই মন দিয়েছিলেন। শরীরের কোন কোন অঙ্গে প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছেন মৌনী?
ঠোঁট
মৌনীর ‘লিপ সার্জারি’ নিয়ে সবচেয়ে বেশি চর্চা হয়েছিল। অস্ত্রোপচারের আগে মৌনীর ঠোঁটের গড়ন ছিল একেবারে পাতলা এবং সরু। কেরিয়ারের প্রথম দিকের কিছু ধারাবাহিকে অভিনয় করার সময় মৌনীর ঠোঁট আলাদা করে চোখে পড়ত না। তবে তার পরেই বদল আসে ঠোঁটে। মোটা এবং ফোলা ঠোঁটে মৌনীর সৌন্দর্য আর ধারালো হয়ে ওঠে। ঠোঁট ফোলানোর দু’রকম পদ্ধতি আছে। ইঞ্জেকশনের সাহায্যে করা যায়। আবার ‘লিপ ইমপ্ল্যান্টেশন’ও করা হয়। খুব বেশি সময় লাগে না। ১-২ ঘণ্টার মধ্যে ঠোঁটে বিপুল বদল চলে আসে।
ভুরু
মৌনী চেয়েছিলেন ধনুকের মতো ভুরু। তাই দেরি না করে ‘ব্রো লিফ্ট’ করান অভিনেত্রী। মূলত ভুরুর সৌন্দর্য বাড়ানোর অস্ত্রোপচার এটি। এটি করতে সময় লাগে এক থেকে দু’ঘণ্টা। ‘এন্ডোস্কেপ’ যন্ত্রের মাধ্যমে মূলত এই অস্ত্রোপচার করা হয়। এ ছাড়া বেশ কিছু যন্ত্রপাতির সাহায্যে ভুরুর ভোল বদলে ফেলা হয়। অত্যন্ত সূক্ষ্ম একটি অস্ত্রোপচার এটি।
ব্রেস্ট অগমেন্টেশন
কেরিয়ারের মাঝামাঝি সময়ে মৌনী বিদেশে উড়ে গিয়ে করিয়ে এসেছিলেন ‘ব্রেস্ট অগমেন্টেশন’। ‘ফ্যাট গ্রাফটিং’ অথবা ‘ইমপ্ল্যান্ট’-এর মাধ্যমে স্তনের এই অস্ত্রোপচার হয়। অন্যান্য অস্ত্রোপচারের থেকে এটি করতে সময় বেশি লাগে। এই অস্ত্রোপচার সফল না হলে অনেক সময় স্তন ক্যানসারের ঝুঁকিও থেকে যায়।
ত্বক
মৌনীর টান টান ত্বকের নেপথ্যে রয়েছে ‘ফেস লিফ্ট’ অস্ত্রোপচার। মুখের চামড়া টান টান করতেই মূলত এই ধরনের কৃত্রিম অস্ত্রোপচারে ভরসা রাখেন বলি তারকারা। তবে এটি করতে সব সময় ছুরি, কাঁচি না চালালেও হয়। বিভিন্ন যন্ত্রপাতি এবং এক বিশেষ ধরনের জেল দিয়েও করা যেতে পারে ফেস লিফ্ট।