—ফাইল চিত্র।
ইংরেজি ‘পিরিয়ড’ সিনেমায় দেখা যায়, বহু যুগ আগে ইংরেজ রমণী প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করার আগে নিজেই নিজের গালে চিমটি কেটে লালচে বানিয়ে নিচ্ছেন। কি ভাগ্যিস ব্লাশার নামের মেক আপের জিনিসটি তৈরি হয়েছিল! তা না হলে গালের কী হাল হত ভাবতে পারছেন! লাজুক গালের কদর সৌন্দর্যপ্রেমীদের চোখে চিরকালীন। তাই ব্লাশ বরাবরই হয়ে থেকেছে মেক আপ বক্সের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তবে জানেন কি, বিপদে পড়লে ওই ব্লাশই আপনার আরও কাজে আসতে পারে?
কী কী ভাবে ব্যবহার করা যায় ব্লাশ?
আইশ্যাডো: তুলি দিয়ে চোখের উপরে বুলিয়ে নিন। গোলাপি, বাদামি, লাল— যে রঙই হোক, চোখে সেই রঙ মায়াবী ছোঁয়া দেবে।
লিপগ্লস: লিপস্টিক নেই। তাতে কি ব্লাশার গিয়ে বানিয়ে ফেলুন লিপ গ্লস। পেট্রোলিয়াম জেলের সঙ্গে ব্লাশার মিশিয়ে লাগিয়ে দিন ঠোঁটে। ব্যস কে বলবে আপনার ঠোঁট সুন্দর নয়!
ম্যাট লিপস্টিক: চকচকে ঠোঁট পছন্দ নয়? তাতে কি! ব্লাশার দিয়ে ম্যাট লিপস্টিকের মতো লুকও পাওয়া যাবে। সামান্য আই ক্রিমের সঙ্গে মিশিয়ে নিন ব্লাশ। আর তাতে নাটকীয়তা আনত চাইলে ঠোঁটের মাঝখানে লাগিয়ে নিন অতি সামান্য শিমার ব্লাশ। ঠোঁট থেকে কেউ চোখ ফেরাতে পারবে না।
নেল পলিশ: একটুও ভুল দেখছেন না। পছন্দের রঙের সঙ্গে ট্রান্সপারেন্ট নেল কালার মিশিয়ে নখের জন্য ইচ্ছেমতো রঙের নেল কালার বানিয়ে নিন। দু’রকম রং মিশিয় নতুন রংও তৈরি করতে পারেন।
মেক আপ: শুধু গালের লালচে আভা নয়, ত্বকের রোদে পোড়া ভাব ঢাকতেও ব্লাশার ব্যবহার করতে পারেন। আবার গাঢ় রংয়ের ব্লাশার থুতনিতে লাগিয়ে ঢাকা যেতে পারে ডবল চিনও।