Makeup Tips

তীক্ষ্ণতা বাড়িয়ে তুলতে ব্লাশ মাখতে হবে মুখের গড়ন অনুযায়ী, কী ভাবে বুঝবেন?

ভুল জায়গায় ব্লাশ মাখলে মেকআপ খারাপ হতে খুব বেশি সময় লাগে না। গোল কিংবা লম্বা মুখ হলে তাকে ম্যানেজ করা আবার খুব চাপের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৪ ১৯:১৭
Blush application tips for different face shapes to enhance your features

ব্লাশ মাখার আগে জানতে হবে মুখের খুঁটিনাটি। ছবি: সংগৃহীত।

শুধু মাত্র মুখে গোলাপি আভা আনা নয়, ব্লাশ দিয়ে মুখের গড়নও বদলে দেওয়া যায়। অনেকেই হয়তো ভাবছেন, মেকআপ প্রসাধনী দিয়ে মুখের ভোল বদলে দেওয়া সাধারণের কম্ম নয়। পেশাদার রূপটানশিল্পী ছাড়া অদক্ষ হাতে ব্লাশ মাখাই বেশ ঝক্কির কাজ। ভুল জায়গায় ব্লাশ মাখলে মেকআপ ভন্ডুল হতে খুব বেশি সময় লাগে না। গোল কিংবা লম্বা মুখ হলে তাকে ম্যানেজ করা আবার খুব চাপের। তবে, রূপটানশিল্পীরা বলছেন, ব্লাশ দিয়ে মুখের গড়ন পাল্টাতে গেলে মুখের কোন আকারে কেমন মেকআপ করতে হয়, সে সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন।

Advertisement

১) গোলাকৃতি মুখ:

একেবারে পূর্ণিমার চাঁদের মতো গোল মুখ ধারালো করে তুলতে চাইলে প্রথমেই কন্ট্যুরের দিকে নজর দিতে হবে। গাঢ় খয়েরি রঙের কন্ট্যু্র পেনসিল বা ব্লাশ অন দিয়ে গাল কেটে নিন। সেই দাগ ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। তার পর গায়ের রঙের সঙ্গে মানানসই ব্লাশ বেছে নিন। দু’গালের হনুর ঠিক নীচের অংশে লাগিয়ে নিন ব্লাশ। গোল মুখ ধারালো দেখাবে।

২) চৌকো মুখ:

চারকোনা মুখের গড়ন পাল্টে দিতে ব্লাশ মাখতে হবে দু’গালের হনুর উপরে। সেখান থেকে ব্রাশ টেনে নিয়ে যান কপালের দিকে, ভুরুর দু’পাশে। চৌকো গড়ন খানিকটা হলেও চেপে দেওয়া যাবে।

Blush application tips for different face shapes to enhance your features

ব্লাশ দিয়ে মুখের গড়ন বদলে দেওয়া যায়। ছবি: সংগৃহীত।

৩) ডিম্বাকৃতি মুখ:

এই আকৃতির মুখে মেকআপ ব্যালান্স করা বেশ ঝক্কির। খুব সন্তর্পণে গালের হাড়ের উপর থেকে ব্রাশ টেনে নিয়ে যান কপালের দিকে, ভুরুর দু’পাশে। মুখ বড় না ছোট, ত্বকের রং কেমন, সেই বুঝে ব্লাশের পরিমাণ এবং রং বাছবেন।

৪) পানপাতার মতো মুখ:

রূপটানশিল্পীদের কাছে পানপাতার মতো মুখের কদর সবচেয়ে বেশি। এই ধরনের মুখে কপাল খুব একটা চওড়া হয় না। গাল খানিকটা প্রশস্ত হয়। চোয়ালের হাড়ও খুব একটা চওড়া হয় না। তাই খুব বেশি কন্ট্যু্র করার প্রয়োজন পড়ে না। এই ধরনের মুখের ক্ষেত্রে গাঢ় রঙের ব্লাশ ব্যবহার করাই ভাল। মুখ যদি খুব তীক্ষ্ণ হয়, সে ক্ষেত্রে মেকআপের সাহায্যে আবার সামান্য ব্লান্ট করে দেওয়াই ভাল।

৫) লম্বাটে মুখ:

যাঁদের মুখ লম্বাটে হয়, তাঁদের আবার এমন ভাবে ব্লাশ মাখতে হয়, যেন মুখের দৈর্ঘ্য খানিকটা হলেও কমে, মুখ ছোট দেখায়। গোলাকৃতি করতে চাইলে ব্লাশের তুলি টানতে হবে নাকের পাশ থেকে কান পর্যন্ত। ভাল করে ব্লেন্ড করে দিতে হবে।

আরও পড়ুন
Advertisement