তেল, জল, শ্যাম্পু দিয়ে রোজই চুলের যত্ন নেন, কিন্তু দুধ দিয়ে কখনও কেশরাশি ধুয়েছেন কি?

রূপচর্চার জগতেও কিন্তু দুধের অবাধ যাতায়াত। রোদে পোড়া দাগ তোলা থেকে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা, দুধের গুণে সবই সম্ভব।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৪ ২৩:১৫

দুধের মতো পুষ্টিকর পানীয় আর নেই। হাড়ের জোর বাড়িয়ে তোলা থেকে শরীরে বিভিন্ন খনিজের ঘাটতি পূরণ করা— সবর্ত্রই দুধের প্রয়োজন। শিশু থেকে বয়স্ক, পুষ্টির জন্য সকলেই এই পানীয়ের উপর ভরসা করেন। তবে, রূপচর্চার জগতেও কিন্তু দুধের অবাধ যাতায়াত। রোদে পোড়া দাগ তোলা থেকে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা, দুধের গুণে সবই সম্ভব। কিন্তু চুল বা মাথার ত্বকেও যে দুধ মাখা যায়, সে কথা কোনও দিন শুনেছেন কি?

Advertisement

চুল বা মাথার ত্বকে দুধ মাখলে কী উপকার হবে?

১) প্রাকৃতিক কন্ডিশনার

রুক্ষ চুলে রেশমের অনুভূতি এনে দিতে পারে দুধ। এই পানীয়ের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন এবং ফ্যাট। এই দু’টি উপাদান চুলের কিউটিকলে পুষ্টি জোগায়। যার ফলে চুলে সহজে জট পড়ে না।

২) নতুন চুল গজায়

প্রোটিন এবং ফ্যাট ছাড়াও দুধের মধ্যে রয়েছে নানা রকম ভিটামিন। পটাশিয়াম, বায়োটিনের মতো খনিজ রয়েছে এই পানীয়ে। নিয়মিত দুধ দিয়ে মাথা ধুলে ত্বকে সেবাম উৎপাদনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। চুলের ফলিকলে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে এই সব খনিজ। ফলে নতুন চুল গজায়।

৩) মাথার ত্বক আর্দ্র থাকে

চুল ভাল রাখতে হলে মাথার ত্বকের যত্ন নিতে হবে। স্ক্যাল্পের আর্দ্রতা বজায় রাখতে না পারলে সংক্রমণ, খুশকির সমস্যা বাড়বে। দুধ কিন্তু এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। মাথার ত্বকে জমা মৃত কোষ দূর করতেও সাহায্য করে দুধ।

৪) চুলের জেল্লা বজায় রাখে

নিয়মিত যত্নের অভাবে চুল যদি নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে, তা হলে দুধ দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে পারেন। দুধের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে ফ্যাট রয়েছে। এই উপাদানটি স্বাভাবিক ভাবেই চুল জেল্লাদার করে তোলে।

৫) চুলের ডগা ফাটা রোধ করে

ডগা ফেটে গেলে চুল কিন্তু মোটেই বড় হতে চায় না। দুধের মধ্যে থাকা প্রোটিন এবং অ্যামাইনো অ্যাসিড চুলের গোড়া তো মজবুত করেই, সঙ্গে কিউটিকলগুলিতেও পুষ্টি জোগায়। ফলে ডগা ফাটার সমস্যা আটকে দেওয়া যায়।

আরও পড়ুন
Advertisement