ত্বকে সর্ষের তেল মাখা কি ভাল? ছবি: সংগৃহীত।
ইলিশ পাতুরি বা চিংড়ি ভাপা তৈরির সময়ে সর্ষের তেল পড়বে না, তা আবার হয় নাকি? সন্ধ্যার বৈঠকি আড্ডায় মুড়িমাখার মধ্যে কয়েক ফোঁটা সর্ষের তেলের ঝাঁঝ না হলে আড্ডার আসর জমে না কি? বাড়িতে কোনও মাছ-মাংস না থাকলে ভাতের সর্ষের তেল দিয়ে ডিম-আলু মাখা থাকলে আর কী চাই! কেবল রান্নার স্বাদ বৃদ্ধি করতেই নয়, ত্বকের জন্যও সর্ষের তেল বেশ উপকারী, সে খবর রাখেন কি?
শীতকালে ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে ও শুষ্কভাব দূর করতে অনেকেই নামীদামি প্রসাধনী ব্যবহার করেন। তবে শীতকালে ত্বকের যত্নে সর্ষের তেলের উপর আস্থা রাখতেই পারেন। ত্বকে সর্ষের তেল মাথার সময় সেই তেল খাঁটি কি না, সেটা যাচাই করতে ভুলবেন না। জেনে নিন, ত্বকের পরিচর্যায় কী ভাবে খাঁটি সর্ষের তেল ব্যবহার করবেন?
১) শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে চুলকানি, ঘায়ের সমস্যা বাড়ে। সর্ষের তেল অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদানে ভরপুর। তাই অ্যালার্জি ও র্যাশের হানা প্রতিরোধে সর্ষের তেল ভাল কাজ করে।
২) সর্ষের তেলে রয়েছে ভিটামিন এ, ই এবং বি কমপ্লেক্স। ফলে নিয়মিত এই তেলে ব্যবহার করলে বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে। বয়সের আগেই যাঁদের চামড়া কুঁচকে যেতে শুরু করেছে, নিয়ম করে সর্ষের তেল ব্যবহার করলে তাঁরা উপকার পাবেন।
৩) অনেকেরই সারা বছর ফাটা ঠোঁটের সমস্যা থাকে। রাতে শোয়ার আগে ঠোঁটে দু’-তিন ফোঁটা সর্ষের তেল বুলিয়ে ঘুমোন। মসৃণ ও কোমল ঠোঁট পেতে এই ঘরোয়া টোটকার জবাব নেই।
৪) সর্ষের তেলে থাকে ভিটামিন ই। তাই এই তেল ট্যান দূর করতেও সাহায্য করে। ত্বকের কালচে দাগছোপ দূর করতেও এই তেল বেশ উপকারী।
৫) শীতে সকলের ত্বকই কমবেশি রুক্ষ হয়ে যায়। রুক্ষ ভাব কাটিয়ে ত্বকে জেল্লা বাড়িয়ে তুলতে সর্ষের তেল বেশ উপকারী।