পদ্ধতিগত ভুলেই ত্বকের জেল্লা হারাচ্ছেন কি না, সে দিকেও বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন। প্রতীকী ছবি।
ত্বকের যত্ন নেওয়া সহজ নয়। প্রতিটি ধাপ নিখুঁত হওয়া চাই। নয়তো ভিতর থেকে ত্বকের বারোটা বাজতে শুরু করবে। শরীরের যত্ন যতটা মনোযোগ দিয়ে নেওয়া জরুরি, ত্বকের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। যত্ন না নিলে তো বটেই, আবার ত্বকের যত্নের সঠিক কৌশলের অভাবেও নানা রকম সমস্যার জন্ম হয়। তাই ত্বক ভাল রাখতে যে কৌশলগুলি নিচ্ছেন, খেয়াল রাখা জরুরি সেগুলি ত্বকের জন্যে আদৌ ফলদায়ক হচ্ছে কি না। ত্বকের ভাল হবে ভেবে অনেকেই অনেক নিয়ম মেনে চলেন। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, সর্ষের মধ্যেই লুকিয়ে থাকতে পারে ভূত। ত্বকের শত খেয়াল রেখেও উপকার না পাওয়ার কারণ লুকিয়ে থাকতে পারে পরিচর্যার কৌশলেই। পদ্ধতিগত ভুলেই ত্বকের জেল্লা হারাচ্ছেন কি না, সে দিকেও বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন। যত্ন নিয়েও কোন ভুলে জৌলুস হারাচ্ছে ত্বক?
১) অনেক বার মুখ ধোয়ার অভ্যাস ত্বক তৈলাক্ত করে তোলে। তাই দিনে ২-৩ বারের বেশি মুখ না ধোয়াই ভাল। বদলে ব্যবহার করতে পারেন ব্লটিং টিস্যু।
২) ত্বকের ক্ষেত্রে অনেকেই ভারী ক্লিনজার ব্যবহার করে থাকেন। উল্টে এতে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সব সময় হালকা জেল ক্লিনজার ব্যবহার করা প্রয়োজন। স্যালিসাইলিক অ্যাসি়ড যুক্ত ও সালফেট মুক্ত ক্লিনজার ব্যবহার করুন।
৩) ত্বকের পরিচর্যায় এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার না করার প্রবণতা বেশি লক্ষ করা যায়। ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য ঠিক রাখতে জোজোবা অয়েল, ল্যাভেন্ডার অয়েল, রোজমেরি অয়েলের মতো ত্বক বান্ধব উপাদানগুলি ব্যবহার করা প্রয়োজন।
৪) ত্বকের জন্য টোনার ব্যবহার করা খুবই জরুরি। ভাল মানের টোনার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখে। তবে অ্যালকোহল মুক্ত টোনার ব্যবহার করা ভাল। না হলে ত্বক বেশি শুষ্ক হয়ে পড়তে পারে।
৫) ত্বকের ক্ষেত্রে গরম জল দিয়ে মুখ ধোয়ার অভ্যাস একেবারেই ঠিক নয়। এতে ত্বক আরও বেশি রুক্ষ হয়ে যায়। তাই মুখ ধুতে ঈষদুষ্ণ জল ব্যবহার করাই ভাল।