আলিয়া ভট্ট থেকে প্রিয়ঙ্কা চোপড়া বলিউডের তারকাদেরও বিভিন্ন সময়ে ডেনিমের জ্যাকেট এবং পোশাকে দেখা যায়। উলের বদলে বেছে নিতে পারেন ডেনিম। ছবি: সংগৃহীত।
এমনিতে কোনও পোশাকে অসুবিধা নেই। অথচ উলের সোয়েটার বা চাদর গায়ে দিলেই সমস্যা শুরু। চুলকানি, অস্বস্তি, হাঁচি।
অনেকেরই উলের পোশাকে অ্যালার্জি থাকে। উল ত্বকের সংস্পর্শে এলেই র্যাশ দেখা দেয়, চুলকায়। উল সাধারণত ভেড়া বা বিভিন্ন প্রাণীর লোম থেকে তৈরি হয়। তবে কৃত্রিম উলের ব্যবহারও বহুল। বছরভর উলের পোশাকের দরকার না পড়লেও, শীতের দিনে তার প্রয়োজন হয়। কিন্তু উলের সোয়েটার, চাদর টুপিতে অসুবিধা হলে, শীতের মরসুমে ঠান্ডা ঠেকাতে আর কোন পোশাক বেছে নিতে পারেন, যেখানে স্টাইলের সঙ্গে আপস করতে হবে না।
ডেনিম: ডেনিম বছরভরই পরা যায়। গরমের জন্য পাতলা, নরম যেমন জনপ্রিয় তেমনই শীতের দিনে মোটা ডেনিমের জ্যাকেট হয়ে উঠতে পারেন ফ্যাশনের অন্যতম অঙ্গ। বি-টাউনের বহু তারকাই ডেনিমের রকমারি পোশাক এবং জ্যাকেটে বিভিন্ন সময়ে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন। খাটো ঝুল অথবা হাঁটু-ঝুলের রকমারি স্টাইলিশ ডেনিম জ্যাকেটের সঙ্গে গলাবন্ধ একরঙা টি-শার্টের যুগলবন্দি বেশ মানাবে।
কর্ডের জ্যাকেট: কর্ডের জ্যাকেট এবং প্যান্ট দুই-ই শীতের জন্য বেছে নিতে পারেন। বিভিন্ন রঙের বিভিন্ন ধরনের জ্যাকেট হয়।খাটো, লম্বা, বেল্ট বাঁধা। কোনওটি ব্লেজারের মতো, কোনওটি গলাবন্ধ। পার্টি হোক বা বাইরে বেড়ানো, এই ধরনের জ্যাকেট হতে পারে শীতের সঙ্গী।
চামড়ার জ্যাকেট: ম্যাট অথবা উজ্জ্বল, বিভিন্ন ধরনের চামড়ার জ্যাকেট পাওয়া যায়। চামড়ার প্যান্টের সঙ্গে মিলিয়ে পরলে তা নজর কাড়বেই। হট প্যান্ট, মিনি স্কার্ট, জিন্স, লং স্কার্ট— অনেক কিছুর সঙ্গেই চামড়ার জ্যাকেট পরা যায়।
ফারের জ্যাকেট: বিভিন্ন স্তন্যপ্রায়ী প্রাণীর চামড়া থেকে তৈরি হয় ফার। ফারের জ্যাকেটও পরতে পারেন শীতের দিনে। কারও উলে অ্যালার্জি থাকলেও তাঁর যে ফারে অসুবিধা হবে, এমনটা নয়। বরং প্রচণ্ড ঠান্ডার জায়গায় ফারের লং জ্যাকেট বেশ আরামপ্রদ।
থার্মাল: সোয়েটারে অসুবিধা থাকলে পোশাকের নীচে থার্মাল গেঞ্জি বা টি-শার্ট পরতে পারেন। হাত কাটা, থ্রি কোয়ার্টার, ফুল হাতা — বিভিন্ন ধরনের থার্মাল গেঞ্জি বা টি-শার্ট পাওয়া যায়।