শুধু শ্যাম্পু করলে, কন্ডিশনার মাখলেই কিন্তু চুলের যত্ন নেওয়া হয় না। ছবি: সংগৃহীত।
চুল ভাল রাখতে সপ্তাহে তিন বার শ্যাম্পু করেন। আর সপ্তাহে এক বার ‘হট অয়েল’ মাসাজ। চুলের জট ছাড়াতে শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার তো মাখতেই হয়। চুলের যত্নে এখন সিরামেরও যথেষ্ট চল রয়েছে। মাঝেমধ্যে তা-ও মাখেন। তবে সপ্তাহখানেক ব্যবহার করার পরও ধৈর্যচ্যুতি ঘটে। কারণ, এত কিছু করেও চুল পড়ার পরিমাণ এতটুকুও কমেনি। চুল পড়ার ভয়ে স্নান করার সময় ছাড়া অন্য কোনও সময়ে মাথায় হাতই দেন না। তবে চুল পরিচর্যার নতুন অভিধান বলছে, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার মাখলেই চুলের যত্ন নেওয়া হয় না। তার চেয়েও বড় কথা, ত্বকের মতো চুলেরও নিয়মিত যত্ন নিতে হয়। তার জন্য বুঝতে হবে ‘স্কিনিফিকেশন’।
চুলের জন্য ‘স্কিনিফিকেশন’ পদ্ধতিটি ঠিক কী রকম?
মুখের চামড়া ভাল রাখতে যেমন নিয়মিত যত্ন নিতে বলা হয়, তেমনই ‘স্কিনিফিকেশন’ পদ্ধতির সাহায্যে মাথার ত্বকের পরিচর্যা করা হয়। চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে মাথার ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। সেই বিষয়টির পোশাকি নাম হল ‘স্কিনিফিকেশন’।
তেল, শ্যাম্পু মাখা বাদেও চুলের জন্য ‘স্কিনিফিকেশন’ করতে আর কী কী করণীয়?
১) ত্বকের যেমন ধরন রয়েছে, তেমন মাথার ত্বকেরও রয়েছে। তাই আগে নিজের মাথার ত্বক সম্বন্ধে ভাল করে জেনে রাখা উচিত। আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মাথার ত্বকের ধরনও বদলে যায়। সেই অনুযায়ী প্রসাধনীও বদলাতে হবে। কিন্তু মাথার ত্বকের চাহিদা বুঝতে না পারলে দামি প্রসাধনী মেখেও মাথার চুল মাটিতে গড়াগড়ি খাবে।
২) প্রথমে সঠিক শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার বেছে নিন। প্রয়োজন অনুযায়ী সেরামাইড্স, স্যালিসিলিক এবং গ্লাইকোলিক অ্যাসিড যুক্ত প্রসাধনী বেছে নিতে পারেন। মাথার ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এই সব উপাদান।
৩) ভাল চুলের গোড়ার কথা হল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল মাথার ত্বক। অর্থাৎ মাথার ত্বক পর্যাপ্ত পুষ্টি পেলে চুল এমনিতেই ভাল হবে। তবে চুলের জন্য প্যাক, তেল বা সিরাম মাখার আগে মাথার ত্বক ভাল করে পরিষ্কার করে নেওয়া প্রয়োজন। মুখের মতো মাথার ত্বকেও মৃত কোষ, খুশকি থাকে। সপ্তাহে দু’বার এক্সফোলিয়েট করলে এই সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যাবে।