অভিনেত্রী সান্য মলহোত্র। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
জট, রুক্ষ ভাব, ডগা ফাটার সমস্যা— এ সবই কোঁকড়া চুলের দোসর। শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার কিংবা সিরাম মেখেও এই ধরনের সমস্যা বশে রাখা মুশকিল। খোলা রাখলেও সমস্যা, বাঁধতে গেলেও অন্য ঝক্কি। খরচ করে প্রতি বার চুল স্ট্রেট করিয়ে নেওয়াই যায়। কিন্তু কিছু দিন পর থেকে মুঠো মুঠো চুল উঠতে শুরু করে! বলিউড অভিনেত্রী সান্য মলহোত্রের চুলও এমন কোঁকড়ানো। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, চুলের এই স্বাভাবিক ‘কার্ল’ তাঁর ভীষণ পছন্দের। নিয়মিত ‘কার্লি হেয়ার মেথড’ মেনেই তিনি চুলের যত্ন নেন।
‘কার্লি হেয়ার মেথড’ কী?
চুলের জন্য শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার তো আবশ্যিক। তবে এ ক্ষেত্রে চুলের ধরন বুঝে শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ব্যবহার করাই ভাল। এ বার ‘ডিট্যাঙ্গলিং ব্রাশ’ প্রয়োজন চুলের জট ছাড়ানোর জন্য। ভিজে চুলে সাধারণত চিরুনি দিতে বারণ করা হয়। তবে কোঁকড়ানো চুলের জন্য নিয়ম ভিন্ন। এ ক্ষেত্রে চুলের গোড়ায় বেশি জোর প্রয়োগ করার প্রয়োজন নেই। ডগার দিক থেকে জট ছাড়ালে চুল ছেঁড়ার আশঙ্কা কম। সান্যের কথায়, চুল হালকা ভিজে থাকতে থাকতেই কায়দা করা শুরু করে দেওয়া উচিত। এটাই আসলে ‘কার্ল’ ধরে রাখার সহজ টোটকা।
তবে কায়দা করার আগে কার্ল ক্রিম মেখে নেওয়া প্রয়োজন। চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে চুল ভাগ করে এই ক্রিমটি মেখে ফেলুন। এই ক্রিমটি অনেকটা হেয়ার জেলের মতো। চুল অতিরিক্ত শুষ্ক হলে এর পর কিছু ক্ষণ স্টিম নেওয়া যেতে পারে। হাতের কাছে ক্রিম না থাকলে কোঁকড়ানো অংশে সামান্য একটু তেলও মাখতে পারেন। কোঁকড়ানো চুলের স্বাভাবিক যে কুঞ্চন রয়েছে, তা বজায় থাকবে দীর্ঘ ক্ষণ।