অভিনেত্রী আলিয়া ভট্ট। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
যে পোশাকই পরুন, যেখানেই যান, আবহাওয়া যেমনই হোক— দুই হনুতে কাশ্মীরের আপেলের মতো লালচে আভা থাকবে। নিদেনপক্ষে গোলাপি তো থাকতেই হবে। প্রচলিত এই ধারণা এখন বদলে দিয়েছে ‘মিনিম্যালিস্ট’ মেকআপ। এখন ‘বেজ’-এর যুগ। পোশাক থেকে মেকআপ— সবেতেই ঘিয়ে রঙের ছোঁয়া। ঘিয়ে রঙের পোশাকের উপর তবু নানা ধরনের কারুকাজ থাকে। কিন্তু ব্লাশের রং যদি ঘিয়ে হয়, তা হলে কেমন দেখায়? রূপটান শিল্পীরা বলছেন, দেখে মনে হবে না মেকআপ করেছেন, অথচ ত্বক একেবারে ঝলমল করবে। চটজলদি ত্বকের নিজস্ব জেল্লা আনতে ‘বেজ ব্লাশ’ কিন্তু দারুণ কাজের।
ব্লাশের প্রসঙ্গ উঠলে চোখের সামনে ভেসে ওঠে হালকা লাল, গোলাপি, পিচ কিংবা হালকা খয়েরি গোছের রং। পোশাক তো বটেই, ব্লাশ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে ত্বকের রং বা ‘স্কিন টোন’ও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তবে যাঁরা মেকআপ প্রসাধনী নিয়ে খুব একটা চর্চা করেন না, রূপটানে বিশেষ পারদর্শী নন, তাঁদের পক্ষে এত হিসেব করে সাজা বেশ কঠিন। ভুল রঙের ব্লাশ মাখার চেয়ে বরং বেজ ভাল, সব দিক থেকে নিরাপদ। রূপটান শিল্পী এবং নেটপ্রভাবী অ্যাভোনা সানসাইনের কথায়, “যত ধরনের ব্লাশ রয়েছে, তার মধ্যে নিউট্রাল ভার্সন হল এই বেজ ব্লাশ। যাঁরা একেবারেই মেকআপ করতে পছন্দ করেন না, কিন্তু একটু অন্য রকম লুক চান, তাঁরা নিশ্চিন্তে এটি ব্যবহার করতে পারেন। যে কোনও পোশাকের সঙ্গেই তা মানিয়ে যায়।”
‘মিনিম্যালিস্ট’ মেকআপে অভিনেত্রী আলিয়া ভট্ট। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
‘বেজ’ কিন্তু সর্বজনীন ব্লাশ
উগ্র নয়, রুচিশীল। তা বোঝানোর অন্যতম ‘অস্ত্র’ হল রং। তা পোশাক হোক বা মেকআপ, দিন না রাত, অনুষ্ঠানের ধরন, সাজের অনুষঙ্গ, সে সবের উপর নির্ভর করে ব্লাশের রং। হয়তো অনেকের কাছেই বেজ রং হিসাবে ভীষণ ফ্যাকাসে। তেমন ঔজ্জ্বল্যও নেই। তবে রূপটান শিল্পীদের ‘মিনিম্যালিস্ট’ মেকআপের নয়া ধারা অনুযায়ী এই ফ্যাকাসে রংটিই বহু প্রতিভার অধিকারী। ‘ফ্ললেস’ মেকআপের চাবিকাঠি এই বেজ ব্লাশ। হলিউড তো বটেই, বলিউডের বহু তারকাই এখন মেকআপের নয়া ধারা মেনেই সাজগোজ করতে পছন্দ করেন।
বেজ ব্লাশ এবং ব্রোঞ্জার বা হাইলাইটার কি এক?
বেজ ব্লাশ কিছু ক্ষেত্রে ব্রোঞ্জারের মতো কাজ করলেও দু’টি প্রসাধনী এক, তা বলা যাবে না। ব্লাশের বিভিন্ন ধরন রয়েছে। পাউডার ব্লাশ যেমন পুরো মুখেই মাখা যায়। তাতে আলাদা করে মুখে ‘স্ট্রব ক্রিম’ বা ‘ইলুমিনেটর’ বা ‘ইলুমিনাইজ়ার’ ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে না। ক্রিম বেস্ড ব্লাশ আবার গ্লস হিসাবে ঠোঁটেও মাখা যেতে পারে।