—প্রতীকী ছবি।
মঙ্গলবার ভারতীয় সময় প্রায় মধ্যরাত, ক্যালিফোর্নিয়ায় তখন সকাল ১০টা। অ্যাপ্লের সদর দফতরে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সংস্থার প্রধান প্রকাশ্যে আনলেন আইফোন ১৫। প্রত্যেক বারের মতো এ বারও আনেন ১৫-র সবচেয়ে কমদামি মডেলটির সঙ্গে উন্নত মানের আরও চারটি মডেল। সঙ্গে তিনটি অ্যাপ্ল ওয়াচও বাজারে নিয়ে এসেছে অ্যাপ্ল সংস্থা। সেই সঙ্গে আইফোনের প্রতিটি মডেলের ফিচারে নানা এসেছে নতুনত্ব। তবে ফোন বা ঘড়ি বাদ দিলে এই বছর অ্যাপ্লের যুগান্তকারী আবিষ্কার হল ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট।
পাহাড়-সমুদ্র-জঙ্গল-সমতল কিংবা মরুভূমি— যেখানেই যান না কেন, আইফোন ব্যবহারকারীকে সব সময় ফোনের চার্জার সঙ্গে রাখতে হয়। কারণ, আইফোনের চার্জিং পোর্ট অন্য সব ফোনের চেয়ে আলাদা। কোনও কারণে ফোনের চার্জ শেষ হয়ে গেলে অন্য এক আইফোন ব্যবহারকারী ছাড়া কেউই সেই বিপদ থেকে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে পারেন না। রাস্তাঘাটে অহরহ বিপদে পড়তে হয় আইফোন ব্যবহারকারীদের। তা ছাড়াও প্রতিটি ডিভাইসের জন্য আলাদা আলাদা চার্জার সঙ্গে নিয়ে যাওয়াও বেশ ঝক্কির। সে সব মাথায় রেখেই সংস্থার এই সিদ্ধান্ত বলেই মনে করছেন প্রভাবীরা।
আইফোন ১৫ এবং আইফোন ১৫ প্লাসের মতো মডেলগুলিতে এ১৬ বায়োনিক চিপসেট রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে ৪৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা লেন্স। তবে একটু বেশি দামের আইফোন ১৫ প্রো এবং আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্সের মতো মডেলে দেওয়া হয়েছে এ১৭ বায়োনিক চিপসেট, অ্যাকশন বাটন এবং টাইর-সি চার্জিং পোর্ট। আইফোনের প্রো মডেলগুলিতে সংস্থা স্টিলের ফ্রেমের পরিবর্তে টাইটানিয়াম ফ্রেম ব্যবহার করেছে। যার ফলে ফোনের ওজন কমবে। হাত পড়লে সহজে নষ্ট হবে না। আইফোন ১৫-র সাধারণ মডেলটির দাম শুরু হচ্ছে ৭৯ হাজার ৯০০ টাকা থেকে।
অ্যাপ্ল ওয়াচ ৯ সিরিজ়
বাইরে থেকে দেখতে সিরিজ় ৮-এর মতোই। কিন্তু সদ্য বাজারে আসা নতুন এই অ্যাপ্ল ওয়াচের ভিতরের কলকব্জায় একাধিক বদল এসেছে। ঘড়ির মধ্যে দেওয়া হয়েছে বিশেষ একটি চিপ, যার সাহায্যে হারিয়ে যাওয়া আইফোন খুঁজে পাওয়া সহজ হবে। সঙ্গে অ্যাপ্ল ইয়ারপড নিয়ন্ত্রণ করার চাবিকাঠিও থাকবে ঘড়িটিতে।