ঘি দিয়ে হয় নানা কাজ। কী ভাবে রান্না ছাড়া তা ব্যবহার করা যায়? ছবি:ফ্রিপিক।
গরম ভাতে এক চামচ ঘিয়ের মেলবন্ধন অনবদ্য। বিরিয়ানি হোক বা মাংসের নানা পদ, এমনকী নিরামিষ পদেও কয়েক ফোঁটা ঘি স্বাদ-গন্ধ বদলে দিতে পারে নিমেষে। খাবার হিসেবেই ঘিয়ের ব্যবহার। তবে এই ঘি কিন্তু রান্না ছাড়াও নানা কাজে লাগে। শুধু জানতে হবে সেই কৌশল।
রূপচর্চায় ঘি: রুক্ষ নিষ্প্রাণ ত্বকে জেল্লা ফেরাতে পারে ঘি। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন থাকায় ঘি ত্বকের পক্ষে ভাল। ত্বকের কালচে ভাব, দাগছোপ দূর করতে সামান্য ঘি-ই যথেষ্ট। এতে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড। যা রুক্ষ ত্বকের জন্য উপকারী। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়ক। ঘিয়ে থাকা ভিটামিন ত্বক টানটান রাখার জন্য প্রয়োজনীয় কোলাজেন উৎপাদনে সহায়ক।
চুলের যত্নে: চুলের যত্নেও কাজে লাগাতে পারেন ঘি। শুষ্ক চুল মসৃণ এবং সুন্দর করে তুলতে পারে ঘি। স্নানের আগে হালকা গরম ঘি চুলে মালিশ করে আধ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। কয়েক বার ব্যবহারে ক্রমশ জেল্লা ফিরবে নিষ্প্রাণ চুলে।
মালিশ: রুক্ষ ত্বকের জন্য ঘি ভাল। এসেনশিয়াল অয়েল বা অন্য তেলের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে মাখতে পারেন সারা শরীরেই। ঘি মালিশে শুধুই লাবণ্যই ফিরবে না, ত্বক হবে সুন্দর এবং লাবণ্যে পূর্ণ।
লিপ বাম: ফাটা ঠোঁটের যত্নে সামান্য একটু ঘি যথেষ্ট। এতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড ময়েশ্চারাইজ়ার ধরে রাখতে সাহায্য করে। ঠোঁটে সরাসরি ঘি লাগিয়ে নিতে পারেন।
জ্বালানি: তেলের বদলে প্রদীপেও ঘি ব্যবহার করতে পারেন। জ্বালানি হিসেবে কাজে লাগানো যায় ঘি। বিভিন্ন পূজা-পার্বণে ঘিয়ের প্রদীপ ব্যবহারের চল রয়েছে।