Black Fungus

Black Fungus: দ্রুত বাড়ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ, ঠেকাতে নতুন নির্দেশিকা এমস-এর

কাদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি? হলেই বা কী কী করতে হবে? এর প্রাথমিক উত্তর আছে নির্দেশিকাটিতে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ মে ২০২১ ১৩:০৮
বাড়ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ।

বাড়ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ। ফাইল চিত্র।

করোনার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ। মহারাষ্ট্র এবং রাজস্থানে ইতিমধ্যেই বহু মানুষ এই সংক্রমণে মারা গিয়েছেন। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কি দেশে নতুন কোনও অতিমারির আকার নিতে চলেছে? এই প্রশ্ন উঠে আসছে নানা মহল থেকে। এরই মধ্যে এই অসুখটি নিয়ে নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করল এমস।

কাদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি? কী করে বোঝা যাবে এই অসুখটি হয়েছে কি না? হলেই বা কী কী করতে হবে? এই সব প্রশ্নের প্রাথমিক উত্তর আছে নির্দেশিকাটিতে।

Advertisement

বলা হয়েছে, যাঁদের ডায়াবিটিসের সমস্যা আছে, যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, ক্যানসারের চিকিৎসা চলছে যাঁদের— তাঁদের এই সংক্রমণের ঝুঁকি বা তা বাড়াবাড়ি জায়গায় পৌঁছনোর আশঙ্কা বেশি। যাঁদের চিকিৎসার প্রয়োজনে বেশি মাত্রায় স্টেরয়েড নিতে হয়, দীর্ঘ দিন এই ধরনের চিকিৎসা চলছে— তাঁদের সাবধান করা হয়েছে এই নির্দেশিকাটিতে। পাশাপাশি সেই সব কোভিড আক্রান্তদেরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে, যাঁদের দীর্ঘ দিন নলের মাধ্যমে অক্সিজেন নিতে হচ্ছে বা হয়েছে।

এমস-এর তরফে বিশেষ করে চক্ষু চিকিৎসকদের এই বিষয়ে রোগীদের সতর্ক করতে বলা হয়েছে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেও আক্রান্তরা যেন নিয়মিত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন, তেমন কথাও বলা হয়েছে এখানে।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

এই ফাঙ্গাস সংক্রমণ হলে তার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে মুখে। নাক থেকে কালচে রক্ত বা তরল বেরোতে থাকে। চোখের তীব্র সমস্যা হয়। দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়, চোখ খোলা-বন্ধ করতে সমস্যা হয়। এই সব সমস্যার দিকে খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। বলা হয়েছে, নিয়মিত দিনের আলোয় মুখের পরীক্ষা করতে হবে। দেখতে হবে, কোথাও কোনও কালচে ছোপ পড়ছে কি না, নাক বা মুখের ভিতরে কোথাও কালো তরলের ক্ষরণ হচ্ছে কি না।

ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ হলে নিজে নিজে চিকিৎসা করা যাবে না। সে কথাও স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে এই নির্দেশিকায়। বলা হয়েছে, নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসাও চালিয়ে যেতে হবে।

Advertisement
আরও পড়ুন