দুধ খাওয়ার সঠিক সময় কখন? ছবি: সংগৃহীত।
দুধ খেতে অনেকেই ভাল বাসেন না। তা সত্ত্বেও শিশুদের পুষ্টির কথা ভেবে এক প্রকার জোর করেই দুধ খাওয়ান বাবা-মায়েরা। যাঁরা শরীরচর্চা করেন, তাঁদের জন্যও দুধ অপরিহার্য। বয়স্কদের শরীরে ক্যালশিয়াম, ভিটামিন বি১২, ডি-এর জোগান অব্যাহত রাখতেও দুধ খেতে বলা হয়। কিন্তু দুধ অনেকেরই সহ্য হয় না। উপকারের বদলে নিয়মিত দুধ খেলে তাঁদের পেটের নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। যাঁদের এই ধরনের সমস্যা হয়, তাঁদের কি দুধ খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে? পুষ্টিবিদদের মতে, হাড়ের ক্ষয় রোধ করা থেকে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলা— দুধের কাজ অনেক। তবে পেটের সমস্যা বা বমি বমি ভাব এড়াতে দুধ খেতে হবে নির্দিষ্ট সময়ে। শুধু তা-ই নয়, কার বিপাকহার কেমন, তা বুঝে ঠিক করতে হবে দুধ খাওয়ার পরিমাণও।
কোন সময়ে দুধ খেলে পেটের গোলমাল হবে না?
আয়ুর্বেদ বলছে, প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে দুধ খাওয়ার সঠিক সময় হল রাত। ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুধ খাওয়ার অভ্যাস তাঁদের জন্য ভাল। তবে কারও যদি হজমের গোলমাল থাকে সে ক্ষেত্রে আবার রাতে দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল। এই নিয়ম আবার শিশুদের ক্ষেত্রে খাটে না। পুষ্টিবিদদের মতে, শিশুদের দুধ খাওয়ার সঠিক সময় হল সকালবেলা। সকালে শিশুরা বেশি চনমনে থাকে। দুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ার চেয়ে যদি খেলাধুলো করে, তা হলে উপকার বেশি। খুব প্রয়োজন না হলে রাতে ঘুমনোর আগে শিশুদের দুধ না খাওয়ানোই ভাল।
কতটা পরিমাণ দুধ খাওয়া উচিত?
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে রাতে দুধ খাওয়ার কিছু বাড়তি সুবিধা রয়েছে। রাতে দুধ খেলে ঘুম হয় ভাল। সুতরাং যাঁদের অনিদ্রজনিত সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য এটি টোটকার মতো কাজ করে। দুধ খাওয়ার সময় যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই কতটা পরিমাণে দুধ খাচ্ছেন, সেটাও জরুরি। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, সারা দিনে ২-৩ কাপ দুধ খাওয়া যেতেই পারে। কিন্তু তার বেশি নয়। কারণ পরিমাণে বেশি খেলে কিন্তু গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দেখা দিতে পারে। দুধ খাওয়ার বেশ কিছু নিয়মও রয়েছে। এমন কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলি দুধের সঙ্গে খাওয়া যায় না। টক ফল, দই, ভাজাভুজি কিংবা তেলমশলা দেওয়া খাবার একেবারেই দুধের সঙ্গে খাওয়া যাবে না। তা হলে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে।