আলিয়া ভট্ট।
বিয়ের পোশাকের বিজ্ঞাপনে ছক ভাঙার ইঙ্গিত দিলেন আলিয়া ভট্ট। বধূদের যেন বরণ করা হয় প্রত্যেকের নিজের গুণের কারণেই, তোলা হল সে প্রসঙ্গ। তার জন্য যদি কিছু বদল আনতে হয় চিরকালীন সব প্রথায়, তবে তা-ই হোক।
বিয়ে মানেই কন্যাদান। এমন কথা তো বলা হয়েই থাকে। কিন্তু এই বিজ্ঞাপনে তোলা হল ‘কন্যামান’-এর প্রসঙ্গ। সমান অধিকার ও নারীর সম্মানের কথা যেন ঝলমলে পোশাকের আড়ালে চাপা না পড়ে যায়, মনে করাল মোহে নামক এক পোশাক ব্র্যান্ডের এই বিজ্ঞাপন। বিয়ের পর যেন সসম্মানে নতুন জীবন শুরু করতে পারে মেয়েরা, সে বার্তাই দিলেন নায়িকা।
বিয়ের সাজে কিছু রীতি-রেওয়াজ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন আলিয়া। মেয়ে মানেই কি তাঁকে দান করতে হবে? তিনি কি এমন একটি জিনিস, যাঁর কোনও মন নেই? তা তো নয়। তবে এমন রীতি কেন? কেন এক হাত থেকে আর এক হাতে তুলে দেওয়া হয় মেয়েদের? বিয়ের দিন একা একা বসে ভাবেন আলিয়া। সেই ছোটবেলা থেকে মা-ঠাকুরমা তাঁকে বলে এসেছেন, এক দিন নতুন সাজে, নতুন বাড়িতে যাবেন তিনি। সেই দিনটি এসে গিয়েছে। কিন্তু তাঁকে দান কেন করা হবে? সে কথা বারবার ঘুরপাক খায় আলিয়ার মনে।
তবে বদল আসে শেষে। যখন পুরোহিত কন্যাদানের কথা বলেন, তখন এগিয়ে আসেন পাত্রের মা-বাবাও। তাঁরাও যেন দান করবেন নিজের সন্তানকে। ছ’জোড়া হাত এক হয়। নতুন রীতির ইঙ্গিত দেয়। এ ভাবেই যে চিরাচিরত ভাবনায় নতুন রং লাগতে পারে, সে কথা বলে দেয় বিজ্ঞাপন। পরে এই বিজ্ঞাপন প্রসঙ্গে আলিয়া বলেন, ‘‘আমি এমন ভাবনাতেই বিশ্বাস রাখি। এ ভাবে যদি একটু একটু করে পরিবর্তন আসে আমাদের সমাজে, তার চেয়ে ভাল আর কী বা হতে পারে?’’
বিজ্ঞাপনের এই ছবি তৈরি করেছে বেদান্ত ফ্যাশন। তাদের তরফে চিফ এগ্জিকিউটিভ অফিসার বেদান্ত মোদী বলেছেন, ‘‘মোহে আধুনিক মহিলাদের জন্য পোশাক বানায়। এই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা দেখাতে চেয়েছি, মেয়েদের জন্য কেমন পরিবেশ প্রয়োজন। পুরনো রীতি-রেওয়াজ একেবারে ভুলে না গিয়েও যে তার মধ্যে বদল আনা যায়, তা-ই দেখানো হল এই ছবিতে।’’