শেষমেশ স্বপ্ন হল সত্যি। ছবি: সংগৃহীত।
উচ্চতা মাত্র ৩.৭ ফুট, তাই মনে বিয়ে করার শখ থাকলেও কোনও মেয়েই বিয়ে করতে রাজি হতেন না উত্তর প্রদেশের বুলন্দশহরের বাসিন্দা মহম্মদ আরশাদের সঙ্গে বিয়ে করতে। দীর্ঘ ১৫ বছরের প্রতীক্ষা ও একাধিক প্রত্যাখ্যানের পর শেষমেশ নিজের মনের মানুষকে খুঁজে পেলেন আরশাদ।
নিজের কম উচ্চতার জন্য বেশ চিন্তায় ছিলেন আরশাদ। তাঁকে নিয়ে লোকজনের তির্যক মন্তব্য শুনে আরশাদের মন খারাপ হত। আদৌ তাঁর বিয়ে হবে কি না, সেই নিয়ে বেশ চিন্তায় ছিলেন তিনি। তবে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তাঁর বিয়ে করার স্বপ্ন সত্যি হল। বিয়ের দিন আরশাদের খোশ মেজাজে বিয়ে করতে আসার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে গাড়ির সানরুফ থেকে মুখ বার করে পরিবারের লোকজনকে হাত দেখাচ্ছেন তিনি। পরনে শেরওয়ানি আর মাথায় পাগড়ি, গলায় টাকার মালা। আরশাদের চোখেমুখে যেন খুশির ঝলক। পুরনো আসবাবপত্রের ব্যাবসায়ী বলেন, ‘‘নানা লোকে আমার বিয়ে নিয়ে নানা কথা বললেও আমি কিন্তু আশা ছাড়িনি। সব সময় আমার মনে আশা ছিল যে, আমার জীবনেও এক দিন ঠিক কেউ আসবে। কথায় বলে না ধৈর্যের ফল মিষ্টি হয়, আমার ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়েছে।’’
তবে এই বিয়েটা করাও খুব একটা সহজ ছিল না আরশাদের জন্য। তিনি বলেন, ‘‘আমার পরিবারের এক জন আমার বৌ সোনার খোঁজ নিয়ে আসে আমার কাছে। উনি জানান সোনার উচ্চতাও কম। তবে সোনার বাড়ির লোকজন প্রথমে এই বিয়েতে রাজি হননি। আসলে সোনার উচ্চতাও আমার থেকে বেশি। ওর উচ্চতা ৪ ফুট। আমার পরিবারের লোকজনের সহায়তায় শেষমেশ বিয়েটি পাকা হয়েছে।’’