জন্মদিনের আগেই লটারিতে ৬৫ লক্ষ টাকা জিতলেন প্রতীকী ছবি।
জীবনে একটাই স্বপ্ন। লটারিতে টাকা জেতা। দীর্ঘ ২৫ ধরে স্বপ্ন সত্যি করতে চেষ্টার কমতি রাখেননি। প্রতি দিন নিয়ম করে লটারির টিকিট কেটে গিয়েছেন। কিন্তু প্রতি বার শুধু ব্যর্থতাই এসেছে। কোনও দিন পাঁচ পয়সাও লটারিতে জেতেননি। তাই বলে হাল ছাড়েননি। হাল ধরে থাকার ফল পেলেন প্রায় আড়াই দশক পর। জন্মদিনের আগেই লটারিতে ৬৫ লক্ষ টাকা জিতলেন কানাডার বাসিন্দা জন হ্যারিস।
হ্যারিসের বয়স এখন ৭৫-এর কোঠায়। ৩০ বছর বয়স থেকে নিয়মিত লটারির টিকিট কাটা শুরু করেন। তিনি যে এলাকায় থাকেন, সেখানে এমন কোনও দোকান নেই যে তিনি টিকিট কাটেননি। বিভিন্ন নম্বর মিলিয়ে মিলিয়ে টিকিট কাটতেন। কিন্তু টিকিটের ফল বেরোনোর দিন তাঁকে খালি হাতেই ফিরতে হত। টিকিট যাঁরা জিতছেন, তাঁদের আনন্দ দেখে মনে মনে ভাবতেন, এমন দিন তাঁরও আসবে। বছরের পর বছর কেটে যেত, ভাগ্য আর খুলত না।
হ্যারিসের বাড়ির লোক টিকিট কাটতে বারণ করেছিলেন। কারও কথা শোনেনি তিনি। বয়স বাড়তে লাগল, তবু টিকিট কাটার প্রতি নেশা এতটুকু কমেনি। কিন্তু এত দিন পর স্বপ্ন সত্যি হবে কে জানত। অভ্যাস মতো গত সপ্তাহেও টিকিট কাটেন তিনি। ফলাফলের দিন গিয়ে জানতে পারেন, এত দিনে ভাগ্য খুলেছে তাঁর। একেবারে লক্ষাধিক টাকার লটারি জিতেছেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠেন হ্যারিস। লটারির দোকানের কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, প্রতি দিন তাঁদের দোকান থেকেই লটারি কাটতে আসতেন হ্যারিস। তাঁর মতো গুরুত্ব সহকারে কেউ লটারি কাটেন না। লটারির ফলের দিন যখন হ্যারিস মুখ কালো করে চলে যেতেন, সকলেরই খারাপ লাগত। তবে দেরিতে হলেও, তাঁর স্বপ্নপূরণ হয়েছে। তাতে খুশির ঢল নেমেছে। হ্যারিস এত টাকা দিয়ে কী করবেন এখনও সেই ভাবে ঠিক করতে পারেননি। তবে একটা আইফোন কিনবেন আর কোস্টারিকায় মেয়ের ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’-এর পরিকল্পনা করবেন বলে আপাতত ঠিক হয়েছে।