এই দীর্ঘ গোঁফ তাঁকে জাতীয় ক্ষেত্রে স্বীকৃতি এনে দিয়েছে। প্রতীকী ছবি।
সুকুমার রায়ের শ্যামবাবুদের গয়লার মতো বিচ্ছিরি আর ময়লা গোঁফ তাঁর নয়। বরং ২ ফুট ১ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের পুরু, ঝকঝকে গোঁফ। যা প্রায় একটি চার মাস বয়সি শিশুর সমান। গোঁফের মালিক সাউথ ক্যারোলাইনার বাসিন্দা পল স্লোসার। সম্প্রতি এই দীর্ঘ গোঁফ তাঁকে জাতীয় ক্ষেত্রে স্বীকৃতি এনে দিয়েছে।
গোঁফের কারণে যে জনপ্রিয় হয়ে উঠবেন, সে কথা কখনও কল্পনাও করেননি পল। কারণ গোঁফ নিয়ে এত পরীক্ষানিরীক্ষা কোনও দিন করেননি তিনি। অনেকেরই গোঁফ রাখার শখ রয়েছে। তেমন কোনও শখ পলের কখনওই ছিল না। বরং গোঁফ রাখতেই পছন্দ করতেন না তিনি। তবে পল জানিয়েছেন, গোঁফ রাখার প্রেরণা জুগিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। গোঁফ রাখার নেপথ্যে রয়েছে একটি গল্প।
পল তখন গোঁফহীন। এক দিন পল স্ত্রীর সঙ্গে একান্ত সময় কাটাচ্ছিলেন। ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে পল যখন স্ত্রীকে চুম্বন করতে যান, স্ত্রী পলকে বাধা দেন। স্ত্রীর দাবি ছিল, গোঁফ না থাকলে চুম্বনের আসল স্বাদ পাওয়া যায় না। শুধুমাত্র গোঁফ নেই বলে স্ত্রীকে চুম্বন করতে পারলেন না, এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না পল। তার পর থেকেই গোঁফ রাখা শুরু করেন তিনি।
প্রথম প্রথম এই গোঁফ দেখে অনেকেই মজা করতেন। কেটে ফেলতেও বলতেন অনেকে। কিন্তু পল সে কথা শোনেননি। এমনকি গোঁফ নিয়ে এমন বাড়াবাড়ি করতে দেখে তাঁর স্ত্রীও পলকে বারণ করেছিলেন। কিন্তু পল কারও কোনও কথা শোনেননি। শুধু মন দিয়ে গোঁফের যত্ন নিয়ে গিয়েছেন। অসুবিধা হলেও গোঁফ কাটার কথা ভাবেনওনি। জেদ করে গোঁফ রেখেছিলেন বটে, তবে এখন অবশ্য গোঁফ নিয়ে একটা আলাদা ভাল লাগা তৈরি হয়েছে। পলের কথায়, ‘‘ভাগ্যিস গোঁফ নেই বলে স্ত্রী চুমু খেতে দেয়নি। নয়তো জনপ্রিয় হতে পারতাম না।’’