(বাঁ দিকে) তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় এবং রাহুল গান্ধী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
রাজধানীর প্রবল শীতের মধ্যেও একটি সাদা টি-শার্ট পরে স্বচ্ছন্দে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় রাহুল গান্ধীকে।
রহস্যটা কী? আজ মুলতুবি হয়ে যাওয়া ফাঁকা লোকসভায় আড্ডার মেজাজে প্রশ্নটা খোদ রাহুলকেই করে বসলেন তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়। জবাব এড়িয়ে গিয়ে অবশ্য লোকসভার বিরোধী দলনেতার সরস উত্তর, ‘ইয়ে অন্দর কা বাৎ হ্যায়’!
রাহুল আজ আসন ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন লোকসভায় তৃণমূলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে, তাঁর সাদা ‘ডিজ়াইনার’ চুল নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করতে। এক একটি অধিবেশনে সুদীপের চুলের ধরন বদলায়, যা সকলেরই আগ্রহের কেন্দ্রে। এ বারে তাঁর পক্ককেশের ধরনটি গত বাদল অধিবেশনের তুলনায় সম্পূর্ণ আলাদা। সূত্রের খবর, রাহুল এসে সুদীপের কাছে জানতে চান, এই চুলের ধরন কী ভাবে করলেন তিনি? তৃণমূলের দলনেতা অবশ্য রহস্য ভাঙেননি! রহস্য বজায় রেখেই তিনি বলেছেন, ‘এই ব্যাপারটা গোপনই থাক না হয়’!
রাহুলকে সামনে পেয়ে অবশ্য দমদমের সাংসদ সৌগতের কৌতূহল বহুমাত্রিক। জানতে চাইলেন, তিনি হাতের সুঠাম পেশি কী ভাবে বানিয়েছেন? তাঁর সঙ্গে ট্রেনিংয়ে যোগ দিতে প্রবীণ তৃণমূল সাংসদকে আমন্ত্রণ জানান রাহুল! ছ’মাসে এ রকম পেশিবহুল তিনি করে তুলবেন সৌগতকে! অবশ্য দমদমের সাংসদ এরপর এ ব্যাপারে বিশেষ উৎসাহ দেখাননি!
গত কাল রাঁচিতে হেমন্ত সোরেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাহুল এবং তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়নি রাহুলকে। আজ রাহুল সেই প্রসঙ্গ তুলে সুদীপকে বলেছেন, গত কাল তৃণমূল নেত্রী অত তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যাবেন, সেটা তিনি বুঝতে পারেননি। মমতা চা-পানের আসরেও ছিলেন না। ওঁর সঙ্গে কথা হয়নি রাহুলের। সুদীপ তাঁকে জানান, কলকাতায় জরুরি কাজ থাকার জন্য দ্রুত ফিরতে হয়েছে তৃণমূলনেত্রীকে।