প্রতীকী ছবি।
চায়ে চুমুক দিয়েই হয় দিনের শুরু। অথচ সেই চা আসল না নকল তা নিয়ে আমরা ক’জনই বা আর চিন্তা করি! তা ছাড়া এখন তো আবার চায়েরও রকমফের হয়। লিকার চা, দুধ চা, মশলা চা, গ্রিন টি আরও কত কী! গলির মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকান আর চা নিয়ে অসংখ্য বার ঘুরতে থাকা মিম বা ভিডিও দিয়েও টের পাওয়া যায় চায়ের প্রতি আমাদের ভক্তি কেমন অচলা। নিজেকে চাঙ্গা রাখতে অনেকেই দিনে বার বার চা খান। ফলে কোনও চায়ে কিছু ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান মেশানো রয়েছে কি না সেটা জানা কিন্তু খুব জরুরি।
ভারতীয় চা বোর্ডের সাম্প্রতিক উপদেষ্টা মণ্ডলীর মতে, বাজারে বিভিন্ন রাসায়নিক দেওয়া নানা রঙের নানান চায়ের বিক্রি ইদানীং বেশ বেড়েছে। জানা যায় যে, খাঁটি দার্জিলিং চা এক কোটি কিলোর বেশি উৎপন্ন হয় না এ দেশে, অথচ বাজারে বিক্রি হয় প্রায় এর চারগুণ। নিম্ন গুণমানের চা-পাতা বাজারে বেশি বিক্রির জন্য এমন অনেক বহিরাগত উপাদান ব্যবহার করা হয় যা খাদ্য নিরাপত্তা এবং গুণমান দপ্তরের কর্তৃপক্ষের সমীক্ষা অনুযায়ী নিষিদ্ধ। যেমন কালো চা-তে অনেক সময় কালো শিসা ব্যবহার করা হয় বলে জানা যায়। এই একই শিসা ব্যবহার করা হয় পেনসিলে। তবুও ভেজাল চায়ের বাজার চলছে রমরম করে।
কিন্তু ভেজাল এই সব চা সম্পর্কে সতর্ক না হলে ভবিষ্যতে কঠিন কোনও রোগে পর্যন্ত আক্রান্ত হওয়া অসম্ভব নয়। ভেজাল চা সহজে চিনে নেওয়ার জন্য চা বোর্ড জানিয়েছে সহজ কিছু উপায়—
১। একটি ফিল্টার কাগজের উপর অল্প চায়ের পাতা ছড়িয়ে দিন।
২। ভিজিয়ে নেওয়ার জন্য কাগজের উপর অল্প জল ছিটিয়ে নিন।
৩। এ বার কাগজটিকে ভাল করে জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
৪। এ বার আলোর সামনে ধরে কাগজের দাগগুলিকে ভাল করে পরীক্ষা করুন।
৫। ভেজাল চা কাগজের উপর কাল বা খয়েরি দাগ ফেলবে, অথচ আসল চা কাগজের উপর কোনও দাগ ফেলবে না।