Noida’s University

নয়ডার বিশ্ববিদ্যালয়ের জলের ট্যাঙ্কে ভাসছে মহিলার দেহ! স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ

সোমবার জলের ট্যাঙ্কের মধ্যে প্রথম দেহ ভেসে থাকতে দেখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০২৪ ১০:২৩
Woman\\\\\\\'s body found in water tank at Noida University

প্রতীকী ছবি।

গ্রেটার নয়ডার গৌতম বুদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের আবাসনের জলের ট্যাঙ্ক থেকে এক মহিলার দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই মহিলা স্বামী এবং শাশুড়ির সঙ্গে থাকতেন। পুলিশের অনুমান, তাঁরাই খুন করে দেহ ট্যাঙ্কের মধ্যে ফেলে দিয়েছেন। ঘটনার পর থেকেই পলাতক দু’জনেই।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার স্বামী স্থানীয় এক হাসপাতালে কাজ করতেন। প্রতিবেশীদের কথায়, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই কোনও না কোনও কারণে অশান্তি লেগেই থাকত। রবিবার রাতেও তাঁদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ঝামেলার মধ্যেই স্ত্রীকে খুন করেন ওই ব্যক্তি। খুনের নেপথ্যে মৃতার শাশুড়িরও যোগ রয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। বাড়িতে খুন করার পর রাতের অন্ধকারে দেহ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের জলের ট্যাঙ্কে ফেলে দিয়ে আসা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রকাশ।

সোমবার জলের ট্যাঙ্কের মধ্যে প্রথম দেহ ভেসে থাকতে দেখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। দেহ মেলার খবর প্রকাশ্যে আসার পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে।

উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক শিবহরি মীনা বলেন, ‘‘আমরা এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছি। পলাতক অভিযুক্তদের খুঁজতে একটি দল গঠন করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার স্বামী এবং শাশুড়িকে জেরা করার পরই এই হত্যা রহস্যের উদ্ঘাটন হবে। একই সঙ্গে মৃতার পরিবারের লোকজনের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে বলে খবর। কী ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢুকে দেহ ফেলা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ এই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে। এই ঘটনার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ জড়িত রয়েছেন কি না, তা-ও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

আরও পড়ুন
Advertisement