Rahul Gandhi

শূন্য পাতা লাল রঙের সংবিধানে, প্রশ্নে কংগ্রেস

লোকসভা ভোটের আগে থেকেই সংবিধান বিপন্ন বলে অভিযোগ করছেন রাহুল গান্ধী তথা তাঁর দল। ভোট প্রচার থেকে লোকসভার সাংসদ হিসেবে শপথগ্রহণ, রাহুলের হাতে দেখা গিয়েছে সংবিধানের পকেট সংস্করণ।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:০৮
রাহুল গান্ধী।

রাহুল গান্ধী। —ফাইল ছবি।

সংবিধান ঘিরে রঙের রাজনীতি।

Advertisement

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর হাতে থাকা সংবিধানের প্রচ্ছদের রং কেন লাল তা নিয়ে গতকালই প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের মতে, উগ্র বামপন্থায় বিশ্বাসী ‘শহুরে নকশাল’দের সমর্থনেই হাতে লাল সংবিধান বারংবার হাতে তুলে নেন রাহুল। আর আজ সেই লাল সংবিধানের ভিতরের সব পাতা কেন সাদা, কেন অক্ষরহীন, তা নিয়ে আজ প্রশ্ন তুললেন বিজেপি নেতারা। সব মিলিয়ে গত দু’দিন ধরে সংবিধানকে ঘিরে রং-রাজনীতির সাক্ষী থাকল মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার।

লোকসভা ভোটের আগে থেকেই সংবিধান বিপন্ন বলে অভিযোগ করছেন রাহুল গান্ধী তথা তাঁর দল। ভোট প্রচার থেকে লোকসভার সাংসদ হিসেবে শপথগ্রহণ, রাহুলের হাতে দেখা গিয়েছে সংবিধানের পকেট সংস্করণ। সে সময়েই বিজেপি প্রশ্ন তুলেছিল, কেন রাহুলের পকেটে থাকা সংবিধানের কভারের রং লাল! সেই প্রশ্ন ফের ওঠে গতকাল। নাগপুরে ‘সংবিধান বাঁচাও সভা’য় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে যে সংবিধান বিলি করা হয় সেটির কভার লাল রঙের। যে বই তুলে ধরে মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে সংবিধান বাঁচানোর লড়াইয়ে নামার আহ্বান করেন রাহুল।

মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফডণবীসের ব্যাখ্যা, ‘শহুরে নকশাল’দের পাশে থাকার বার্তা দিতেই এত রঙ থাকতে লালকে বেছে নিয়েছেন রাহুল। কংগ্রেসের বক্তব্য, রাহুলের কাছে যা থাকে, তা হল সংবিধানের ‘কোট-পকেট এডিশন’। মূলত আইনজীবীদের কোটের পকেটে যাতে সংবিধান ধরে যায়, সেই ভেবে ওই আকার দেওয়া হয়েছে। আর বইটির কভারের রং যে লাল হবে, সেই সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট প্রকাশকের। যার পিছনে কংগ্রেস বা রাহুলের হাত নেই।

লালের পরে আজকের বিতর্কের বিষয় ছিল সাদা। গতকাল নাগপুরে কংগ্রেসের রুদ্ধদ্বার সভায়, প্রত্যেকের হাতে সংবিধানের একটি কপি দেওয়া হয়েছিল। বিজেপি মুখপাত্র শেহজাদ পুনেওয়ালার অভিযোগ, ওই ‘লাল রঙের বইয়ে উপরের পাতাতেই কেবল ভারতের সংবিধান বলে লেখা রয়েছে। ভিতরের সব পাতা সম্পূর্ণ সাদা। একটি অক্ষরও লেখা নেই তাতে। পুনেওয়ালার দাবি, আসলে এ ভাবেই সংবিধান মুছে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কংগ্রেসে। অম্বেডকর যে সংবিধান লিখেছিলেন, ক্ষমতায় এলে এরা তা বাতিল করে দেবে বলে বার্তা দিয়ে রাখল কংগ্রেস নেতৃত্ব। আর রাহুল তো সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার প্রশ্নে আগে থেকেই সরব রয়েছেন।’’ অক্ষরহীন সংবিধান যে বিতরণ করা হয়েছে তা মেনে নিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলের বক্তব্য, প্রত্যেককে ছাপানো সংবিধান দিলে খরচ অনেক বেড়ে যেত। খরচ কমাতেই লাল কভারের নীচে কেবল সাদা পাতা জুড়ে দেওয়া হয়েছে।

সন্ধ্যায় এ প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, “মহারাষ্ট্রের বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (দেবেন্দ্র ফডণবীশ)-এর বক্তব্য অনুযায়ী বাবাসাহেব অম্বেডকরের সংবিধান দেখানো ও জাতগণনার দাবিতে মুখ খোলার অর্থ হল নকশালপন্থী মানসিকতা। বিজেপির ওই ভাবনা সংবিধান রচনার মূল কারিগর তথা মহারাষ্ট্রের সন্তান অম্বেডকরের অপমান।... সংবিধানের উপরে হামলার জবাব পূর্ণ শক্তিতে দেবে জনতা। ..লিখে রাখুন,
জাতগণনা হবেই।”

এ দিকে, তাঁর স্বামী জেলবন্দি জেকেএলএফ নেতা ইয়াসিন মালিককে নিয়ে রাহুল গান্ধীকে চিঠি লিখলেন স্ত্রী মিশাল মালিক। মিশালের দাবি, ইয়াসিন উপত্যকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারেন। তিহারে তাঁর চিকিৎসা হচ্ছে না, প্রতিবাদে অনশন শুরু করেছেন ইয়াসিন। মিশাল ইয়াসিনকে আইসিইউতে পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন
Advertisement