বলিউডের সঙ্কটমোচন সতীশ মানশিন্ডে। গ্রাফিক— সনৎ সিংহ।
সঞ্জয় দত্ত থেকে সলমন খান, রাখি সবন্ত থেকে হালের রিয়া চক্রবর্তী। বলিউ়ডের সঙ্কটমোচন হিসেবে বার বার আবির্ভূত হয়েছেন দেশের অন্যতম দামি এবং প্রথম সারির আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে। সেই সতীশই এ বার প্রমোদতরীতে মাদক মামলায় জড়িত শাহরুখ পুত্র আরিয়ানের সহায়। কিন্তু কেন বার বারই সতীশ সকাশে যায় বলিউড? কী তাঁর বিশেষত্ব? কত পারিশ্রমিক তাঁর?
লর্ডসে কপিল দেবের হাতে বিশ্বকাপ উঠল যে বার, সেই ১৯৮৩ সালে কর্নাটকের ধারওয়াড়ের আদি বাসিন্দা সতীশ মানশিন্ডে মুম্বই (তৎকালীন বম্বে) আসেন। সেই সময় ফৌজদারি মামলায় দেশের অন্যতম সেরা আইনজীবী রাম জেঠমলানির জুনিয়র হিসেবে কাজ শুরু করেন। টানা ১০ বছর জেঠমালানির নেতৃত্বে কাজ করার পর স্বাধীন ভাবে ওকালতি শুরু করেন। পাদপ্রদীপের তলায় আসেন ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণ মামলায়। বলিউড তারকা সঞ্জয় দত্তের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন সতীশ। আইনজীবী মহলে শোনা যায়, শিন্ডের জোরদার সওয়ালের জোরেই বিস্ফোরণ মামলায় জামিন পেয়ে যান সঞ্জয় দত্ত। তার পর থেকে তাঁর নাম ছড়াতে শুরু করে মায়ানগরীর আনাচে কানাচে।
এর পর বলিউডে কার্যত একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করেন সতীশ। কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলায় সলমন খানের হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাঁকে জামিনও পাইয়ে দেন সতীশ। ২০০২ সালে সলমন জড়িয়ে পড়েছিলেন মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো সংক্রান্ত মামলায়। সে ক্ষেত্রেও সলমনের সহায় হিসেবে ছিলেন সতীশ। এবং সে ক্ষেত্রেও জামিন পান সলমন।
সঞ্জয় দত্ত, সলমন খানের মতো ব্যক্তিদের হয়ে মামলা লড়া সতীশের হাতযশের অবশ্য এখানেই শেষ নয়। সম্প্রতি সুশান্ত সিংহ রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলায় রিয়া চক্রবর্তীর হয়ে আদালতে সওয়াল করেছিলেন সতীশ। কিন্তু তখন আরও একটি বিতর্কের জন্ম হয়। তা সতীশের পারিশ্রমিক নিয়ে।
বিভিন্ন সময় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সতীশ মানশিন্ডে এজলাসে দাঁড়িয়ে এক বার সওয়াল করতে ১০ লক্ষ টাকা নেন। রিয়া চক্রবর্তীর হয়ে যখন সতীশ সওয়াল করছেন, তখন প্রশ্ন ওঠে কী ভাবে সতীশের মতো দামি আইনজীবীর খরচ সামলাচ্ছেন রিয়া?
এই প্রসঙ্গে ঘটে একটি মজার ঘটনা। গত বছর একটি সাক্ষাৎকারে সতীশকে জি়জ্ঞেস করা হয়েছিল, ‘‘শোনা যায় আপনার পারিশ্রমিক ১০ লক্ষ টাকা। এটা কি সত্যি?’’ মৃদু হেসে সতীশ জবাব দিয়েছিলেন, ‘‘যে প্রবন্ধের উপর ভিত্তি করে আমার পারিশ্রমিক ১০ লক্ষ টাকা বলছেন সেটা ১০ বছরের পুরনো। এ বার হিসেব করে নিন।’’