Maharashtra Bus Accident

ঘুমের মধ্যে দুর্ঘটনা, সঙ্গে সঙ্গেই জ্বলতে শুরু করল বাস, কী ভাবে ২৬ জনের প্রাণ গেল মহারাষ্ট্রে?

শুক্রবার গভীর রাতে নাগপুর থেকে পুণে যাওয়ার পথে উল্টে যায় যাত্রিবাহী বাস। দুর্ঘটনার পর আগুন ধরে যায় বাসটিতে। মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২৬ জনের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
মুম্বই শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৩ ১২:০৯
photo of bus accident

দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাস। ছবি: টুইটার।

প্রথমে দুর্ঘটনা। তার অভিঘাতে বাসে জ্বালানির ট্যাঙ্ক ফেটে বিপত্তি। এর পরেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসে মুহূর্তেই দাউ দাউ করে আগুন ধরে গিয়েছিল। শুক্রবার গভীর রাতে মহারাষ্ট্রে বাস দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে এমন তথ্যই জানাচ্ছে পুলিশ। পুড়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২৬ জনের। প্রাণে বেঁচেছেন সাত জন। তবে তাঁদের মধ্যে চার জনের আঘাত লেগেছে।

Advertisement

দুর্ঘটনায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন বাসের এক চালক। হাসপাতালের বেডে শুয়ে তিনি জানিয়েছেন, সমৃদ্ধি মহামার্গ এক্সপ্রেসওয়ে (মুম্বই-নাগপুর এক্সপ্রেসওয়ে) দিয়ে যাচ্ছিল বাসটি। তখন রাত ১টা ৩৫। বুলধানা শহরে বাসের চাকা ফেটে যায়। তার পরই একটি খুঁটিতে ধাক্কা লেগে উল্টে যায় বাসটি। পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার জেরে বাসের জ্বালানির ট্যাঙ্কটি ফেটে যায়। এর পরেই সেখান থেকে ডিজেল লিক করে। তার জেরেই আগুন ধরে যায় বাসটিতে।

নাগপুর থেকে পুণে যাচ্ছিল বাসটি। বাসটিতে ৩৩ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে সাত জন বেঁচে গিয়েছেন। বাসে দুই চালকের মধ্যে এক চালকের মৃত্যু হয়েছে। বেঁচে গিয়েছেন খালাসিও। যে দিকে দরজা ছিল, সে দিকেই উল্টে যায় বাসটি। তার ফলে দুর্ঘটনার পর যাত্রীরা বাসের মধ্যে থেকে বেরোতে পারেননি। যে সব যাত্রী চালকের কেবিনের পাশে বসেছিলেন, তাঁরাই বেরোতে পেরেছেন। দুর্ঘটনার জেরে বাসের জানলার কাচ ভেঙে গিয়েছিল। সেখান দিয়েই ওই যাত্রীরা কোনও রকমে বাসটি থেকে বেরোন।

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় অধিকাংশ যাত্রীরাই ঘুমোচ্ছিলেন। মহারাষ্ট্রের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইট করেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। মৃতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। বুলধানা জেলাশাসকের দফতর থেকে দু’টি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। নম্বরগুলি হল, ৭০২০৪৩৫৯৫৪ এবং ০৭২৬২২৪২৬৮৩।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement