Sanitary Napkin

‘কন্ডোমও চাই?’ স্কুলে স্বল্পমূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিনের দাবি করে উত্তর পেল বিহারের ছাত্রী

বুধবার পটনায় রাজ্য সরকারের আয়োজিত ‘সশক্ত বেটি, সমৃদ্ধ বিহার’ কর্মশালার মঞ্চে সরকারি আমলা এবং স্কুলছাত্রীর এ হেন প্রশ্ন-পাল্টা প্রশ্নে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে সমাজমাধ্যমে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
পটনা শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২০:৪০
বিহারের কয়েকটি স্কুলের বেহাল দশার কথা জানিয়েছে স্কুলছাত্রীরা।

বিহারের কয়েকটি স্কুলের বেহাল দশার কথা জানিয়েছে স্কুলছাত্রীরা। প্রতীকী ছবি।

বিহার সরকার কি তাদের স্কুলে কম দামে স্যানিটারি ন্যাপকিনের বন্দোবস্ত করতে পারে? রাজ্যের এক আমলার কাছে জানতে চেয়েছিল এক স্কুলছাত্রী। তাতে ওই আমলার পাল্টা প্রশ্ন, এর পর সরকারের কাছ থেকে কি কন্ডোমও চাইবে সে?

বুধবার পটনায় রাজ্য সরকারের আয়োজিত ‘সশক্ত বেটি, সমৃদ্ধ বিহার’ কর্মশালার মঞ্চে সরকারি আমলা এবং স্কুলছাত্রীর এ হেন প্রশ্ন-পাল্টা প্রশ্নে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে সমাজমাধ্যমে। ওই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিহারের মহিলা ও শিশু উন্নয়ন নিগম (ডব্লিউসিডিসি)-র প্রধান হরজ্যোত কউর ভামরা-সহ রাজ্যের নবম-দশম শ্রেণির কয়েক জন স্কুলছাত্রী। ওই আইএএস আধিকারিকের কাছে একগুচ্ছ আবেদন করে এক স্কুলছাত্রী। তার প্রশ্ন, ‘‘বিহার সরকার কি ২০-৩০ টাকায় স্যানিটারি প্যাডস দিতে পারে?’’ উত্তরে হরজ্যোতের পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘এর পর তো তুমি বলবে, সরকার আমাদের জিন্স দিতে পারে। অথবা তার পর বলবে, সুন্দর জুতোও তো দিতে পারে। শেষমেশ আশা করবে যে সরকার তোমাকে কন্ডোমও দেবে!’’ সঙ্গে জুটেছে হরজ্যোতের কটাক্ষও, ‘‘এটা তো নির্বুদ্ধিতার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। তা হলে ভোট দিও না! পাকিস্তান হয়ে যাও। পয়সা আর পরিষেবার পাওয়ার জন্যই কি ভোট দাও?’’ যদিও ওই ছাত্রীর মন্তব্য ছিল, ‘‘পাকিস্তানে যাব কেন? আমি তো ভারতীয়!’’

Advertisement

স্কুলের শৌচাগারের বেহাল দশা নিয়ে আমলার কাছে দরবার করেছিল আর এক ছাত্রী। তবে তাতেও নিরাশ হতে হয়েছে তাকে। তাদের স্কুলের শৌচাগারের দরজা ভাঙা। তা দিয়ে অনেক সময় ছেলেরা ঢুকে পড়ে। এই অভিযোগ করায় আমলার প্রশ্ন, ‘‘তোমার বাড়িতে কি আলাদা শৌচাগার রয়েছে? এত দাবি করলে কী ভাবে চলবে? সরকারের থেকে এত কিছু নেবেই বা কেন? এ ধরনের চিন্তা-ভাবনা ঠিক নয়।’’

বিহারের নীতীশ কুমার সরকারের ওই কর্মশালার আয়োজনে ইউনিসেফ ছাড়াও হাত মিলিয়েছে বেশ কয়েকটি সংগঠন। তবে বিহারের মেয়েদের জীবনযাত্রার মান বাড়ানোই যে কর্মশালার উদ্দেশ্য, সেই মঞ্চে সরকারি আমলার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও দর্শকাসন থেকে হরজ্যোতের দিকে কটাক্ষে ভরা মন্তব্যে ভেসে এসেছে। সরকারি প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এক দর্শক। তাতে হরজ্যোতের মন্তব্য, ‘‘এই ধরনের চিন্তা-ভাবনায় বদল আনা প্রয়োজন।’’

গোটা প্রশ্নোত্তর পর্বটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ্যে আসতেই অবশ্য উল্টো সুর শোনা গিয়েছেন হরজ্যোতের কণ্ঠে। তাঁর দাবি, ‘‘এটি ভুয়ো এবং বিদ্বেষপূর্ণ রিপোর্টিং।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘নারীর ক্ষমতায়ন এবং অধিকার নিয়ে আমি বরাবরই সরব। কিন্তু ডব্লিউসিডিসি যাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছে, তাঁরাই আমার সুনাম নষ্টের চেষ্টা করছেন।’’

আরও পড়ুন
Advertisement