ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া
দিল্লিতে একজন থাকছেন গত পাঁচ বছর ধরে। অন্যজন দু’বছর। তবে এই প্রথম তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হল তাঁদের ‘রেট কত?’
দিল্লির হউজ খাস ভিলেজের একটি পাব থেকে বাড়ি ফিরছিলেন দুই তরুণী। রাস্তায় ট্যাক্সির জন্য অপেক্ষা করার সময়ই ঘটনাটি ঘটে। কয়েকজন মধ্যবয়স্ক এগিয়ে এসে দুই তরুণীকে লক্ষ্য করে অশালীন মন্তব্য করেন। এমনকি, তাঁরা দেহ ব্যবসায়ে জড়িত—এমন ইঙ্গিত করে জানতে চান, তাঁদের ‘দর কত?’
দিল্লির ওই ঘটনায় ওই দুই তরুণী অবশ্য মধ্যবয়সীদের দলটিকে পাল্টা আক্রমণ করেন। এমনকি, তাঁদের কান ধরে ক্ষমা চাইতেও বাধ্য করেন তাঁরা। তবে নেট মাধ্যমে তাঁরা জানিয়েছেন, এত বছর দিল্লিতে থেকে এমন অভিজ্ঞতা এই প্রথম হল তাঁদের।
Case Registerd by @dcp_southwest @delhipolice age 30 years along with her three friendsresident of Dargeeling, went to a restro bar and were waiting outside the bar for a cab, 3/4 persons passed lewd comments. Accordingly a case u/s 509 IPC has been registered @SwatiJaiHind pic.twitter.com/dCCzJpfd9k
— Ravi Jalhotra (@ravijalhotra) July 21, 2021
सोशल मीडिया पर वायरल वीडियो में देखा गया - दिल्ली के हौज खास इलाके में कुछ नॉर्थ ईस्टर्न लड़कियों के साथ हुई छेड़छाड़. लड़कों के ग्रुप ने लड़कियों से पूछा उनका "रेट"
— Delhi Commission for Women - DCW (@DCWDelhi) July 21, 2021
DCW अध्यक्षा @SwatiJaiHind ने बताया मामले को बेहद गंभीर, पुलिस को एफआईआर के लिए भेजा नोटिस pic.twitter.com/lrtNGBOwao
ঘটনাটির একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই এ নিয়ে সরব হয়েছে দিল্লির মহিলা কমিশনও। কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল নিজের ব্যক্তিগত টুইটার অ্যাকাউন্টে ওই ভিডিয়ো শেয়ার করে লিখেছেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুতর। লজ্জাজনকও। আশা করি দিল্লি পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখবে এবং যথাযথ পদক্ষেপ করবে।’ ওই টুইটেই দিল্লি পুলিশকে কমিশনের তরফে নোটিস পাঠানো হয়েছে বলেও জানান স্বাতী। পরে কমিশনের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ওই নোটিসের ছবি শেয়ার করা হয়। যাতে ঘটনাটির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে কমিশন দিল্লি পুলিশের কাছে জানতে চেয়েছে, ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করেছে বা করেনি পুলিশ।
দিল্লিতে এই হেনস্থার শিকার দুই তরুণীই উত্তর-পূর্ব ভারতের বাসিন্দা। দিল্লিতে তাঁদের একজন থাকছেন গত পাঁচ বছর। অন্যজন দিল্লিতে আছেন গত দু’বছর ধরে। দুই তরুণী জানিয়েছেন, ওই রাতের অভিজ্ঞতা ওখানেই থামেনি। পরে পুলিশও হেনস্থা করেছে তাঁদের। রাতে তাঁদের পথ আটকে এক টহলরত পুলিশ কর্তা এক তরুণীর কাছে বার বার জানতে চেয়েছিলেন তিনি ‘কোথাও নাচেন কি না!’