Santa Claus

রাম সাজা যাবে, সান্তা সেজে আসা যাবে না স্কুলে, প্রধানশিক্ষকদের চিঠি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

মিশনারি নয় এমন স্কুলে কেন বড়দিন উদ্‌যাপন করা হচ্ছে, সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তাঁদের অভিযোগ, বাচ্চাদের সান্তা সাজিয়ে স্কুলগুলি আসলে খ্রিস্টান ধর্মের প্রচার করছে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
ভোপাল শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১২:৫৫
বড়দিন উদ্‌যাপনের সময় ‘হিন্দু’ পড়ুয়াদের সান্তা ক্লজ় সাজানো যাবে না। স্কুলগুলিকে চিঠি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের।

বড়দিন উদ্‌যাপনের সময় ‘হিন্দু’ পড়ুয়াদের সান্তা ক্লজ় সাজানো যাবে না। স্কুলগুলিকে চিঠি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের। ছবি: প্রতীকী

রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ সাজা যাবে। কিন্তু বড়দিন উদ্‌যাপনের সময় ‘হিন্দু’ পড়ুয়াদের সান্তা ক্লজ় সাজানো যাবে না। মধ্যপ্রদেশে স্কুলের প্রধানশিক্ষকদের চিঠি লিখে হুঁশিয়ারি দিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। চিঠিতে আরও জানাল, এ ভাবে হিন্দু সংস্কৃতির উপর আঘাত হানা হচ্ছে।

সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ভোপালের স্কুলগুলিতে ছাত্র-ছাত্রীদের সান্তা সাজানো হয়েছে। বাড়ি থেকে তাদের ক্রিসমাস ট্রি আনতেও বলেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তার পরিপ্রক্ষিতেই সব স্কুলের প্রধানশিক্ষকদের চিঠি দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তাতে লিখেছে, ‘‘এটা আমাদের হিন্দু সংস্কৃতির উপর আঘাত। খ্রিস্টান ধর্ম নিয়ে হিন্দু পড়ুয়াদের অনুপ্রাণিত করার ষড়যন্ত্র চলছে।’’

Advertisement

মিশনারি নয় এমন স্কুলে কেন বড়দিন উদ্‌যাপন করা হচ্ছে, সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তাঁদের অভিযোগ, বাচ্চাদের সান্তা সাজিয়ে স্কুলগুলি আসলে খ্রিস্টান ধর্মের প্রচার করছে। চিঠিতে এই নিয়ে অভিযোগ করে তারা লিখেছে, ‘‘আমাদের হিন্দু বাচ্চাদের রাম সাজা উচিত। কৃষ্ণ সাজা উচিত। গৌতম বুদ্ধ, মহাবীর, গুরু গোবিন্দ সিংহ সাজা উচিত। সকলের বিপ্লবী, মহান ব্যক্তি হওয়া উচিত। কিন্তু সান্তা হওয়া কখনওই উচিত নয়।’’

পাশাপাশি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া কোনও পড়ুয়াকে সান্তা সাজানো হলে সেই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে তারা। অন্য দিকে ভোপালের গির্জার যাজক গরিবদের পাশে দাঁড়ানোর আর্জি জানিয়েছেন সকলকে। বড়দিন উপলক্ষে সাজানো হয়েছে শহরের সব গির্জা।

আরও পড়ুন
Advertisement