রাহুল গাঁধীর সঙ্গে যশপাল এবং সঞ্জীব। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
উত্তরখণ্ডের যশপাল আর্য বিজেপি ছেড়ে যোগ দিলেন কংগ্রেসে। সঙ্গে তার ছেলে তথা বিজেপি বিধায়ক সঞ্জীব। আগামী বছরের গোড়াতেই সে রাজ্যে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। তার আগে রাজ্যের প্রভাবশালী দলিত নেতা যশপালের এই পদক্ষেপ পদ্ম-শিবিরে ‘বড় ধাক্কা’ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে।
কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার আগে সোমবার উত্তরখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামীর সরকারের পরিবহণ মন্ত্রীর পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন যশপাল। কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীর সঙ্গে যশপাল এবং সঞ্জীবের ছবি প্রকাশ করে এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কে সি বেণুগোপাল টুইটারে লেখেন, ‘কংগ্রেসের কাছে সবচেয়ে আনন্দের মূহূর্ত।’ কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার আগে সোমবার সকালে দিল্লি পৌঁছে রাহুলের সঙ্গে দেখা করে যশপাল এবং সঞ্জীব।
উত্তরখণ্ডের বিগত কংগ্রেস সরকারেও মন্ত্রী ছিলেন ছ’বারের বিধায়ক যশপাল। তার আগে কংগ্রেস বিধায়ক হিসেবে রাজ্য বিধানসভার স্পিকারের ভূমিকাও পালন করেছেন। ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটের আগে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়তের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেন। মুক্তেশ্বর কেন্দ্র থেকে নিজে জেতেন। নৈনিতাল বিধানসভা আসন থেকে জেতান ছেলেকে।
সোমবার কংগ্রেসে যোগদান কর্মসূচিতে অবশ্য হরিশের পাশেই বসেছিলেন যশপাল। জানান, তাঁরা এক সঙ্গে লড়াই করে বিজেপি-কে ক্ষমতা থেকে সরাবেন।
১৯৮৯ সালে অভিভক্ত উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে জিতেছিলেন ৬৯ বছরের ওই দলিত নেতা। উত্তরাখণ্ড রাজ্য গঠনের পর থেকে ধারাবাহিক ভাবে প্রতিটি বিধানসভা ভোটেই তিনি জিতেছেন। ২০০৭-১৪ উত্তরাখণ্ড প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদেও ছিলেন যশপাল। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ধামীর মতবিরোধের খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। সপ্তাহ দু’য়েক আগে যশপালের ক্ষোভ প্রশমনের জন্য তাঁর বাড়িতেও গিয়েছিলেন ধামী। কিন্তু ফল মিলল না তাতে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে বিজেপি-র জয়ের পরে মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবিদারদের তালিকায় যশপালের নাম ছিল। কিন্তু তিনি মুখ্যমন্ত্রী হননি। চলতি বছরের মার্চ থেকে জুলাইয়ের মধ্যে বিজেপি শীর্ষনেতৃত্বের ‘সৌজন্যে’ উত্তরাখণ্ডবাসী তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রী দেখেছেন (ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়ত, তীরথ সিংহ রাওয়ত এবং ধামী।) প্রতিটি বদল-পর্বের সময়ই ‘সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী’ হিসেবে আলোচনায় এসেছিলেন যশপাল।