—প্রতীকী ছবি।
দাহ করার সময় বেঁচে উঠলেন ‘মৃত’ তরুণ। উত্তর প্রদেশের মুজাফ্ফরনগরে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে। পরিবারের লোক জন ভুল করে অন্য এক জনের মৃতদেহ দাহ করার জন্য নিয়ে আসাতেই এই বিপত্তি ঘটেছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই ‘মৃত’ তরুণের নাম মন্টু। গত ৩১ অগস্ট তিনি তাঁর ১৮ বছর বয়সি প্রেমিকাকে নিয়ে ঘর থেকে পালিয়ে যান। এর পরই ওই তরুণীর পরিবার মন্টুর বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে। যুগলকে খুঁজে বার করতে একটি দল গঠন করে পুলিশ। এর মধ্যেই ১৩ সেপ্টেম্বর মিরাট পুলিশ মন্টুর পরিবারকে একটি মুণ্ডহীন মৃতদেহ শনাক্ত করতে ডেকে পাঠায়। ওই দেহটি একটি ড্রেনে পড়েছিল। মন্টুর পরিবারের সদস্যরা মর্গে গিয়ে দেহটি মন্টুর বলে শনাক্ত করেন।
গত বুধবার মৃতদেহ হাতে পেয়ে মন্টুর শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করে তাঁর পরিবার। পাশাপাশি মন্টুর প্রেমিকার পরিবারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনে মুজাফ্ফরনগরে থানার বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় মানুষ।
অন্য দিকে, মন্টুর পরিবারের সদস্যেরা যখন পুলিশের থেকে পাওয়া মৃতদেহ দাহ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখনই প্রেমিকার সঙ্গে চণ্ডীগড় থেকে ধরা পড়েন মন্টু। তাঁদের মুজাফ্ফরনগরে আনা হয়েছে। মন্টুর পরিবারের দাবি, ওই দেহ এবং মন্টুর শরীরে একই জায়গায় উল্কি ছিল বলে তারা দেহ শনাক্ত করতে ভুল করেছিল।
মুজাফ্ফরনগরের একজন পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন যে, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই মুণ্ডহীন দেহটি আসলে কার, তা জানতেও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।