আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই আসরফ আহমেদের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে আগেই দু’টি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠনের ঘোষণা করেছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। —ফাইল ছবি।
পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে হত উত্তরপ্রদেশের গ্যাংস্টার তথা প্রাক্তন সাংসদ আতিক আহমেদের ছেলে আসাদের মৃত্যুর তদন্ত করবে দুই সদস্যের বিচারবিভাগীয় কমিশন। কমিশনে ইলাহাবাদ হাই কোর্টের যে দু’জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে রাখা হয়েছে, রবিবার তাঁদের নাম ঘোষণা করেছেন যোগী আদিত্যনাথ সরকার। কমিটিতে থাকবেন হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রাজীবলোচন মেহরোত্রা এবং অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বিজয়কুমার গুপ্ত।
১৩ এপ্রিল ঝাঁসিতে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর সঙ্গে ‘এনকাউন্টারে’ নিহত হন আতিকের তৃতীয় পুত্র আসাদ এবং তাঁর সঙ্গী গুলাম। এমনই দাবি করেছিল রাজ্য পুলিশ। এঁরা দু’জনেই উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন। পুলিশের রেকর্ডে ‘ওয়ান্টেড’ অপরাধীর তালিকায়ও ছিলেন তাঁরা।
পুলিশ জানিয়েছিল, আসাদদের কাছ থেকে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র, নতুন মোবাইল ফোন এবং সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। দু’জনের মাথার দাম ছিল ৫ লক্ষ টাকা। এই ঘটনায় যোগী সরকারের বিরুদ্ধে এনকাউন্টার করিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
এর আগে অবশ্য আতিক এবং তাঁর ভাই আসরফ আহমেদের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে দু’টি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠনের ঘোষণা করেছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। পাশাপাশি, আতিকের হত্যার তদন্তে হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অরবিন্দকুমার ত্রিপাঠীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারবিভাগীয় কমিটিও গড়েছে তারা। কমিটিতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ব্রিজেশকুমার সোনি এবং রাজ্যের প্রাক্তন ডিজিপি সুবেশকুমার সিংহকে রাখা হয়েছে।
২০০৫ সালে বিএসপি বিধায়ক রাজু পালের হত্যার পাশাপাশি পরের বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওই খুনের একমাত্র সাক্ষী উমেশ পালের খুনের অভিযুক্ত ছিলেন আতিক। আসাদের মৃত্যুর দু’দিন পরে ১৫ এপ্রিল রাতে প্রয়াগরাজের একটি হাসপাতালে আতিক এবং তাঁর ভাইকে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় খুন হন তাঁরা। অভিযোগ, সে সময় সাংবাদিকের ছদ্মবেশে ভিড়ে মিশেছিলেন তিন হত্যাকারী। ক্যামেরার সামনেই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে আতিকদের লক্ষ্য করে গুলি চালান ওই তিন জন। আতিকেরা মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পর ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে দিতে আত্মসমর্পণ করেন তাঁরা। লভলেশ তিওয়ারি, অর্জুন মৌর্য এবং সানি সিংহ নামের ওই তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।