Guddu Muslim

‘গুড্ডুকে ধরতে হবে, ও সবচেয়ে ভয়ানক!’ আতিক-ঘনিষ্ঠকে নিয়ে উদ্বিগ্ন যোগীর পুলিশ

গুড্ডুকে নিয়ে সতর্ক করেছেন উত্তরপ্রদেশের এসটিএফের প্রধান। তাঁর দাবি, আতিকের দলের দুষ্কৃতীদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক গুড্ডু। বোমা বানানো তাঁর বিশেষত্ব।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
লখনউ শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৩ ০৮:০৪
UP police STF chief says Atiq Ahmed’s aid Guddu Muslim is a big threat for them.

আতিক আহমেদের দলের সঙ্গে দীর্ঘ দিন কাজ করছেন গুড্ডু মুসলিম। ছবি: সংগৃহীত।

মৃত্যুর আগে তাঁর নামই নিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের ভাই আশরফ। তাঁর কথা বলতে বলতেই গুলি খান তিনি। আতিকের ঘনিষ্ঠ সেই গুড্ডু মুসলিমকে নিয়ে উদ্বিগ্ন উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর প্রধান অমিতাভ যশ গুড্ডুকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

অমিতাভ জানান, আতিকের দলে যে দুষ্কৃতীরা ছিলেন, তাঁদের মধ্যে গুড্ডুই সবচেয়ে ভয়ানক। তিনি পেশাগত ভাবে অপরাধী। নিজের হাতে বোমা তৈরি করতে পারেন। বোমা তৈরি গুড্ডুর অন্যতম বিশেষত্ব।

Advertisement

নিজের অতীত অভিজ্ঞতা থেকে গুড্ডুকে নিয়ে সতর্ক করেছেন অমিতাভ। তিনি জানান, ১৯৯৯ সালে এই গুড্ডুকেই এক বার তিনি গ্রেফতার করেছিলেন। বেআইনি মাদক পাচারের অভিযোগে হাতকড়া পরাতে হয়েছিল আতিক-ঘনিষ্ঠ দুষ্কৃতীকে। আতিকের আইনজীবীই সেই সময় গুড্ডুকে জামিনে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।

উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গুড্ডুকে সহজেই তিনি চিনতে পেরেছিলেন বলে জানিয়েছেন এসটিএফ প্রধান। তিনি বলেন, ‘‘গুড্ডু ভয়ঙ্কর অপরাধী। ওকে ধরতেই হবে। যত দিন গুড্ডু গ্রেফতার না হচ্ছে, আমাদের সকলের কাছেই ও উদ্বেগের কারণ।’’

উমেশ পাল হত্যা মামলায় বন্দি আতিক এবং তাঁর ভাই আশরফকে শনিবার রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপ এড়িয়ে সেখানে পৌঁছে যান আততায়ীরা। তার পর সাংবাদিক সেজে আতিকদের পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করেন। স্লোগান দিতে দিতে ক্যামেরার সামনেই খুন করা হয় আতিক এবং তাঁর ভাইকে।

আতিকরা হাসপাতালের সামনে যখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, সেই সময় আশরফের শেষ কথা ছিল গুড্ডু প্রসঙ্গে। তিনি বলছিলেন, ‘‘আসল কথা হল গুড্ডু মুসলিম...’’ এর পর বাক্যটি আর শেষ করার সুযোগ পাননি তাঁরা। সেই গুড্ডুই এখন যোগীর পুলিশের কাছে অন্যতম চিন্তার কারণ। পুলিশ সূত্রে খবর, গুড্ডু গা ঢাকা দিয়ে আছেন, তাঁর খোঁজ চলছে।

আরও পড়ুন
Advertisement