Atiq Ahmed

আতিকের বন্দুকের গুলিতেই মৃত্যু হয় উমেশ পাল এবং দুই দেহরক্ষীর! চাঞ্চল্যকর তথ্য ফরেন্সিক রিপোর্টে

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রয়াগরাজে নিজের বাড়ির সামনে খুন হয়েছিলেন উমেশ। তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়। সেই ঘটনায় উমেশের দুই দেহরক্ষীরও মৃত্যু হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
লখনউ শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২৩ ১৫:১৩
Umesh Pal was murdered with Atiq Ahmed’s pistol, revealed in forensic report

(বাঁ দিকে) নিহত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ। (ডান দিকে) উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডের মুহূর্ত। —ফাইল চিত্র ।

নিহত ‘গ্যাংস্টার’ আতিক আহমেদের বন্দুকের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছিল উমেশ পাল এবং তাঁর দুই দেহরক্ষীর। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল ফরেন্সিক রিপোর্টে। ফরেন্সিক রিপোর্ট অনুযায়ী, আতিকের পিস্তলের গুলিতেই উমেশ ও দুই দেহরক্ষীর মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া কার্তুজ এবং উমেশ পালের শরীরে আটকে থাকা গুলি পরীক্ষা করার পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে বলে সরকারি সূত্রে খবর। এ বার ফরেন্সিক রিপোর্ট থেকেও তা স্পষ্ট হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

উমেশ হত্যাকাণ্ডে আতিকের বন্দুক ব্যবহার করা হলেও গুলি চালিয়েছিলেন আতিক পুত্র আসাদ আহমেদ। পুলিশ সূত্রে খবর, আতিক ও আশরফকে হেফাজতে নেওয়ার পর কাসারি মাসারির নাতে তিরাহে এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানই একটি ভাঙা বাড়ি থেকে কোল্ট পিস্তলটি উদ্ধার হয়। সেই বন্দুকের গুলির সঙ্গে আতিকের শরীরে আটকে থাকা গুলি পরীক্ষা করে দেখা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, পরীক্ষার পর নিশ্চিন্ত হওয়া গিয়েছে যে, উমেশ এবং তাঁর সুরক্ষায় থাকা দুই বন্দুকধারী এই পিস্তল থেকে ছোড়া গুলিতেই মারা যান।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রয়াগরাজে নিজের বাড়ির সামনে খুন হয়েছিলেন উমেশ। তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়। সেই ঘটনায় উমেশের দুই দেহরক্ষীরও মৃত্যু হয়। ২০০৫ সালে খুন হয়েছিলেন তৎকালীন বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) বিধায়ক রাজু পাল। সেই খুনে নাম জড়ায় ‘গ্যাংস্টার’ আতিকের। রাজু খুনের একমাত্র সাক্ষী ছিলেন উমেশ। অভিযোগ উঠেছিল, উমেশ যাতে রাজু খুনের সাক্ষী না দিতে পারেন, সেই জন্যই তাঁকে খুন করেন আতিক। উমেশের খুনের পর আতিক, তাঁর ভাই আশরফ, স্ত্রী শায়িস্তা, আতিকের দুই ছেলে, সহযোগী গুড্ডু মুসলিম, গুলাম-সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন উমেশের স্ত্রী জয়া পাল।

এর পর গত ১৫ এপ্রিল মেডিক্যাল পরীক্ষা করতে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের সামনেই আতিক এবং তাঁর ভাই আশরফকে গুলি করে হত্যা করেন আততায়ীরা। চিৎকার করে স্লোগানও দেন। ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেই দৃশ্য। তবে আতিকের স্ত্রী শায়েস্তা পরভীন এখনও অধরা। শায়েস্তাকে পলাতক ঘোষণা করে তাঁর বিরুদ্ধে ৫০ হাজার টাকার পুরস্কার ঘোষণা করছে পুলিশ। এ ছাড়াও মামলায় আরও অনেক আসামির খোঁজ চলছে।

আরও পড়ুন
Advertisement